— প্রতীকী ছবি।
যৌনতার ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ মুম্বইয়ের এক মডেলের বিরুদ্ধে। কর্নাটক পুলিশ সূত্রে খবর, ৫০ জনকে প্রতারণা করে ৩৫ লক্ষ টাকারও বেশি অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন ওই মডেল। পুলিশ এখনও পর্যন্ত ওই মডেলের তিন সঙ্গীকে গ্রেফতার করতে পারলেও এখনও অধরা নেহা ওরফে মেহের নামে ওই মডেল।
প্রতারিত এক ব্যক্তি কর্নাটক পুলিশের কাছে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ তদন্তে নেমে বুঝতে পারে, জাল অনেক দূর বিস্তৃত। পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে ওই ব্যক্তি দাবি করেছেন, সমাজমাধ্যমে বার্তা পাঠানোর একটি অ্যাপে তাঁর সঙ্গে পরিচয় মেহেরের। তার পর হোয়াটসঅ্যাপের নম্বর বিনিময়। কথা চলতে থাকে। বিভিন্ন সময় মেহের তাঁর ছবিও পাঠাতেন। এ ভাবেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। স্বামী দুবাইয়ে থাকেন, মেহের তাঁকে জানান, তাই নিজের যৌন আকাঙ্খা পূরণ হচ্ছে না। এ ভাবে ওই ব্যক্তিকে ফাঁদে ফেলে নিজের বেঙ্গালুরুর বাড়িতে ডেকে আনেন।
গত ৩ মার্চ দুপুরে ওই ব্যক্তি মেহেরের বাড়িতে পৌঁছন। ওই প্রতারিতের দাবি, দু’জনে যখন ঘনিষ্ঠ অবস্থায়, তখনই ঘরে ঢুকে পড়েন তিন ব্যক্তি। তাঁরা দু’জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ওই অবস্থাতেই ওই ব্যক্তিকে বলা হয়, মেহেরকে বিয়ে করতে হবে। রাজি না হলে বিবস্ত্র অবস্থায় রাস্তায় হাঁটানো হবে। যদি তিনি এই দু’য়ের কোনওটিতেই রাজি না থাকেন তাহলে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে মামলা মিটিয়ে নিতে হবে। সামাজিক লজ্জার ভয়ে ওই ব্যক্তি তখনই সাড়ে ২১ হাজার টাকা ট্রান্সফার করে দেন এক ব্যক্তির ফোনে। বাকি টাকা দিতে তাঁকে বাড়ি যেতে দেওয়ার আবেদন করেন প্রতারিত। টাকা আনতে ওই তিন ব্যক্তি প্রতারিতকে নিয়ে তাঁর বাড়ির দিকে রওনা দেন। সেই সুযোগে তিন ব্যক্তির হাত ছাড়িয়ে পালান প্রতারিত। তার পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এই প্রথম নয়, এর আগেও অন্তত ৫০ জন পুরুষকে এ ভাবেই যৌনতার ফাঁদে ফেলে লুট করেছেন মুম্বইয়ের মডেল মেহের। আর এই ফাঁদে ফেলেই হাতিয়ে নিয়েছেন ৩৫ লক্ষ টাকারও বেশি। পুলিশ মেহেরের সঙ্গী তিন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তবে মেহের এখনও অধরা। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর মোবাইল লোকেশন দেখাচ্ছে মুম্বই। কর্নাটক পুলিশ সেই সূত্রে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে।