corona virus

রাতজাগা নগরী এখন দিনভর ঝিমোচ্ছে, দেখুন কেমন আছে স্বপ্নের মুম্বই

লকডাউনের শহরেই খোলা আকাশের নীচে রাত কাটে অসংখ্য গৃহহীনের। রাজপথের ডিভাইডার-ই তাঁদের আশ্রয়স্থল।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২০ ১০:১৪
Share:
০১ ৩০

লকডাউনে বাণিজ্যনগরীর যানবাহনশূন্য রাজপথ ভেসে যাচ্ছে বাতির আলোয়। ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস রেলস্টেশনের এই অচেনা চেহারা সম্ভবত আগে দেখেননি কোনও মুম্বইবাসী।

০২ ৩০

গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ায় আজ পায়রাদেরই রাজত্ব। অন্য সময় মানুষের সঙ্গে জায়গা ভাগাভাগি করে নিতে হয় ওদের। কিন্তু নেই ওদের সামনে ছড়িয়ে থাকা দানার রাশি। খাবার যাঁরা দেবেন, তাঁরা আজ চার দেওয়ালের ভিতর বন্দি।

Advertisement
০৩ ৩০

লকডাউনে স্তব্ধ গিরগাঁও চৌপট্টির নিঃসঙ্গ সৈকতে জরুরি পরিষেবার দুই কর্মী।

০৪ ৩০

গিরগাঁও চৌপট্টির সৈকতেই লকডাউনের অন্য এক সকালে মেলা বসেছে পাখিদের।

০৫ ৩০

কিন্তু লকডাউন মানেই পটে আঁকা শান্ত ছবি নয়। এর মধ্যেও জীবনযুদ্ধ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার অবকাশ নেই অনেকেরই। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে বসেছেন সব্জি বিক্রেতারা। অপেক্ষা ক্রেতার।

০৬ ৩০

যতটা সম্ভব সুরক্ষা আর সতর্কতার বলয়ে নিজেদের ঢেকে নিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

০৭ ৩০

এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতেও নতুন দিনের অপেক্ষায় থাকে মানুষ। নবি মুম্বইয়ের ভাসি অঞ্চলে সমুদ্রের খাঁড়ির পাশে সূর্যাস্তের সাক্ষী এক যুবক। অস্তগামী সূর্যের পাশাপাশি তার সঙ্গী বাসায় ফেরা পাখির দল। দূষণের মাত্রা কমে যাওয়ায় ছেঁড়া মেঘের গায়ে সূর্যের রং যেন রূপকথার ছবি।

০৮ ৩০

আবার অসংখ্য অসহায় মুখের সামনে স্তব্ধ জীবন মানে রূপকথা নয়, বরং কর্কশ সত্যি। বয়স আর দারিদ্রের ভারে ঝুঁকে পড়া বৃদ্ধার সম্বল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দেওয়া খাবার আর মাস্ক।

০৯ ৩০

লকডাউনের শহরেই খোলা আকাশের নীচে রাত কাটে অসংখ্য গৃহহীনের। রাজপথের ডিভাইডার-ই তাঁদের আশ্রয়স্থল।

১০ ৩০

এই দুঃসময়ে যেন অভুক্ত থাকতে না হয় নিরীহ পোষ্যদেরও। লকডাউনের মধ্যে সে খেয়াল রাখছেন এই মুম্বইবাসী।

১১ ৩০

জে জে ব্রিজের গাড়ির স্রোত আজ উধাও। সন্ধ্যার সূত্রপাতে ধনুকের মতো এই স্থাপত্য যেন আলোর নদী।

১২ ৩০

আইকনিক মেরিন ড্রাইভ এখন জনশূন্য। তার মাঝেই চলছে নিয়মভাঙা বেপরোয়া ক্রিকেট খেলা।

১৩ ৩০

লকডাউন চললেও ছুটি নেই তাঁর। মুম্বইয়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজে ব্যস্ত এক পুরকর্মী।

১৪ ৩০

চূড়ান্ত অস্থির সময়েও রঙের খেলা দেখাতে ভোলেনি চৈত্রের ঝকঝকে আকাশ। লকডাউনে স্তব্ধ কোনও এক দুপুরে সে ছবি ধরা পড়ল মুম্বইয়ের দাদার এলাকার টিটি সার্কল-এ।

১৫ ৩০

দাদার মাতুঙ্গা রোডে দূষণহীন নীল আকাশে মেঘের আনাগোনা। বহুতলে প্রাণের স্পন্দনও যেন করোনায় ত্রস্ত।

১৬ ৩০

কিন্তু করোনার ত্রাসকে জীবনে বোধহয় পা রাখতে দিতে চান না এই মুম্বইবাসী। পথের পাশে ঠেলাগাড়িতেই তাঁর নিশ্চিন্ত ঘুম।

১৭ ৩০

লকডাউনের দৌলতে পাওয়া বিরতি উপভোগ করছে চওড়া রাজপথও।

১৮ ৩০

সমুদ্র চিরে এই পথ চলে গিয়েছে হাজি আলির দরগায়। পুণ্যার্থীদের অনুপস্থিতিতে পথের সঙ্গী আরবসাগরের অবিরাম ঢেউ।

১৯ ৩০

বান্দ্রা ওরলি সি লিঙ্ক অপেক্ষায় পুরনো ব্যস্ততা ফিরে পাওয়ার। তার পিছনে ঘোলাটে দিগন্তে মিলেমিশে গিয়েছে অরবসাগরের জল আর আকাশ।

২০ ৩০

হারিয়েছেন কাজ। চলে গিয়েছে অস্থায়ী মাথা গোঁজার জায়গাও। মুম্বইয়ের রাজপথে আরও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পরিযায়ী শ্রমিকরা।

২১ ৩০

সৈকতের বালিতে টায়ারের দাগ মিলিয়ে যাওয়ার পথে।

২২ ৩০

সদাব্যস্ত মুম্বইয়ে বিরল জনশূন্য বিকেল। সাক্ষী আরবসাগরের ঢেউ আর বোল্ডারের স্তূপ।

২৩ ৩০

অন্য সময় ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ ট্রেন টার্মিনাসে থাকে জনসমুদ্র। আজ ঘড়ি সময় বলছে। কিন্তু দেখার বা শোনার কেউ নেই।

২৪ ৩০

জরুরি অবস্থায় মাস্ক পরে পথে নামতে হয়েছে এই বৃদ্ধাকেও। সংগ্রহ করেছেন দীর্ঘ ঘরবন্দি-জীবনের রসদ।

২৫ ৩০

তাঁদের মতো অপারগ প্রবীণদের কথা বিশেষ করে ভেবে জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে মুম্বইয়ের বাজার।

২৬ ৩০

কিন্তু বাজারে পণ্যের যোগানও আজ অনিশ্চিত। কারণ করোনাস্তব্ধ শহরে গতি হারিয়েছে পণ্যবাহী ট্রাক-ও।

২৭ ৩০

আরবসাগরের পাশে প্রমোদসরণিও হারিয়ে ফেলেছে তার পুরনো চেহারা। অফিসফেরত ব্যস্ততা থেকে বিকেলের অলসভ্রমণকে কেড়ে নিয়েছে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক।

২৮ ৩০

আতঙ্কের অশনি সঙ্কেত আরও গভীর হয়েছে কর্মহীন ঠিকা শ্রমিকদের জীবনে।

২৯ ৩০

কাজের জায়গায় দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন মালিক। বাড়ি ফের ছাড়া উপায় নেই। শিশুপুত্রকে কাঁধে করে মুম্বই-আমদাবাদ হাইওয়ে ধরে চলেছেন বাবা। বাড়ি এখনও বহু দূর।

৩০ ৩০

লকডাউন যত এগিয়েছে, ততই সুরক্ষার বলয় নিশ্ছিদ্র হয়েছে অভিজাত আবাসনে। সেই দায়িত্ব পালনের ফাঁকেই ক্ষণিকের বিশ্রাম এক নিরাপত্তারক্ষীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement