rape

Death Penalty: ঘটনা ঘটার ৯ মাসে শাস্তি, ধর্ষণ করে খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায় দিল মুম্বইয়ের আদালত

এক মহিলাকে মেরেধরে টেম্পোয় ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে এক যুবক। ব্যাপক মারধরও করে। মরে গিয়েছে ভেবে সে মহিলাকে রাস্তার পাশে ফেলে এলাকা ছাড়ে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২২ ২১:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

বছর বত্রিশের এক মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় দোষী মোহন কাথওয়ারু চৌহানকে মৃত্যদণ্ডের সাজা শোনাল মুম্বইয়ের দিনদোশি দায়রা আদালত। ২০২১-এর সেপ্টেম্বরে ওই ঘটনাটি ঘটেছিল মুম্বইয়ের শহরতলিতে।

Advertisement

নির্যাতিতার পক্ষের আইনজীবী সওয়াল করেছিলেন, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধের মধ্যে পড়ে। তাই দোষী মোহনের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হোক। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক এইচসি শিণ্ডে মেনে নেন, মোহনের কৃতকর্ম বিরলের মধ্যে বিরলতমের পর্যায়েই পড়ে। অতএব, তাঁর সাজা হয় মৃত্যুদণ্ড।

সূত্রের খবর, ২০২১-এর ১০ সেপ্টেম্বর, সাকিনাকার খেরানি রোডে একটি দাঁড়িয়ে থাকা টেম্পোয় ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এক জন নৈশপ্রহরী মহিলাকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। নির্যাতিতাতে ঘাটকোপারের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পর দিন তাঁর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছিল, মোহন ওই মহিলাকে মেরেধরে টেম্পোয় ঢুকিয়ে ধর্ষণ করে। এবং ব্যাপক মারধর করে। মরে গিয়েছে ভেবে সে মহিলাকে রাস্তার পাশে ফেলে এলাকা ছাড়ে।

Advertisement

মহিলার আইনজীবী সওয়াল করেন, ঘটনা ঘটিয়ে যে ভাবে ঠান্ডা মাথায় মোহন এলাকা ছেড়েছিল এবং সে যে ভাষায় গোটা ঘটনা বন্ধুদের কাছে বর্ণনা করেছিল, তা কোনও সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়। যদিও মোহনের আইনজীবী সওয়াল করেন, এটি বিরলের মধ্যে বিরলতম ঘটনা নয়। নির্যাতিতাকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া হলে, তিনি বেঁচেও যেতে পারতেন। কিন্তু আদালত সে কথা মানতে চায়নি।

পুলিশ মোহনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের সময় মোট ৩৭ জন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলেছে। পাশাপাশি, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও মোহনের দোষ প্রমাণে বড় ভূমিকা নিয়েছে পুলিশের কাছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement