আবার ভেলকি মুলায়ম সিংহ যাদবের।
উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টির ভরাডুবির পর শিবপাল যাদব যখন ভাইপো অখিলেশ যাদবকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর থেকে ফের দলের ক্ষমতা কাড়তে তৈরি, তখন মুলায়ম বলে বসলেন, এই হারের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে কেউ দায়ী নয়। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট যে হারের বড় কারণ, সে কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
যা দেখে প্রশ্ন উঠেছে, শিবপাল-অখিলেশ যুদ্ধ নতুন করে শুরু হওয়া সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু মুলায়ম এ বার কোন পক্ষ নেবেন? হারের পরেও অখিলেশের দাবি, কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কোনও ভুল হয়নি। সপা নেতারা বলছেন, মুলায়ম দু’কুল বাঁচালেন এক চালে। এক দিকে ব্যক্তিগত ভাবে কাউকে দায়ী না করে ছেলেকে বাঁচালেন। আবার কংগ্রেসের সঙ্গে জোটকে দুষে শিবপাল ও অমর সিংহদের নিরস্ত করলেন।
রবিবার বিকেলে লখনউয়ের জ্ঞানেশ্বর মিশ্র ট্রাস্টে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুলায়ম। সেখানেই তিনি বলেন, ‘‘এই হারের দায় গোটা দলের। কাউকে ব্যক্তিগত ভাবে এই হারের জন্য দায়ী করা ঠিক নয়।’’ সোমবার হোলি উপলক্ষে এটাওয়ার সাইফাইতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে ছিলেন মুলায়ম। সেখানেও মুলায়ম সাংবাদিকদের বলেন, “এই হারের জন্য কেউ ব্যক্তিগত ভাবে দায়ী নয়। আমরা মানুষকে বোঝাতে পারিনি”।
গোটা যাদব-পরিবারই হোলির সময় সাইফাইতে কাটায়। অখিলেশও আজ দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে হোলি খেলেছেন। পাশে দেখা গিয়েছে তাঁর খুড়তুতো ভাই ধর্মেন্দ্র যাদবকে। কিন্তু হোলির আনন্দও অখিলেশ-শিবপালের দূরত্ব কাটাতে পারেনি। শিবপাল এটাওয়ায় নিজের বাড়িতে হোলি উদ্যাপন করলেও অখিলেশের বাড়িতে যাননি।
শিবপাল শিবিরের বক্তব্য, অখিলেশই বলেছিলেন, ভোটের পর তিনি দলের জাতীয় সভাপতির পদ বাবা মুলায়মকে ছেড়ে দেবেন। এ বার সেই কথা রাখুন তিনি। এমনিতেও হারের দায় নিয়ে তাঁর পদত্যাগ করা উচিত। শিবপাল ফেরত চান নিজের প্রদেশ সভাপতির পদটিও। হোলির পরেই সমাজবাদী পার্টির বিরোধী দলনেতা মনোনয়নের বৈঠক হবে। সেই পদেরও দাবিদার শিবপাল। ওই বৈঠক থেকেই সংঘাতের শুরু হবে বুঝিয়ে শিবপাল শিবিরের নেতা সি পি রাইয়ের মন্তব্য, “অখিলেশের অপরিণত রাজনীতির জন্যই এই হার। এ বার নেতাজিকে ফের দলের হাল ধরতে হবে।”