মুকেশ অম্বানী এবং মার্ক জাকারবার্গ।— ফাইল চিত্র
নতুন ‘ই-কমার্স’ মডেল বাজারে আনার লক্ষ্যে লকডাউনের সময়েই গাঁটছড়া বেঁধেছিল মুকেশ অম্বানীর জিয়ো এবং মার্ক জাকারবার্গের ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ। মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দু’দিনের ‘ফুয়েল ফর ইন্ডিয়া ২০২০’-র মঞ্চে মুকেশ এবং জাকারবার্গের আলাপচারিতায় মূলত উঠে এল সেই প্রসঙ্গই। এ দিনও ভারতে ক্ষুদ্র ব্যবসার পক্ষে সওয়াল করেছেন জাকারবার্গ। উল্টো দিকে ফেসবুককর্তাকে ভারতে আরও বেশি কাজকর্মে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রিলায়েন্সের কর্ণধারও। তাঁর আশা, ভবিষ্যতে প্রথম তিনটি অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের অন্যতম হয়ে উঠবে ভারত।
জাকারবার্গের মত, বর্তমানে ভারতের সমস্ত পরিবারের অর্ধেক মধ্যবিত্ত। তাঁর দাবি, ওই সংখ্যাটা প্রতি বছর ৩ থেকে ৪ শতাংশ করে বাড়বে। মুকেশ বলেন, ‘‘আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আগামী দু’দশকের মধ্যে ভারত বিশ্বে প্রথম তিনটি অর্থনৈতিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠবে।’’ দেশের মানুষের মাথা পিছু আয় বাড়বে বলেও আশা জিয়ো কর্ণধারের।
জাকারবার্গ এ দিন বলেন, ‘‘পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে যুক্ত থাকতে ভারতের লাখ লাখ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ বা ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করেন। দেশ জুড়ে লাখ লাখ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও গ্রাহকের কাছে পৌঁছতে, অর্ডার পেতে এবং তাঁদের ব্যবসা বাড়াতে হোয়াটসঅ্যাপ এবং মেসেঞ্জার ব্যবহার করেন।’’ তাঁর মতে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার স্বপ্ন সরকারের হাত ধরে প্রযুক্তির মাধ্যমে উন্নয়ন ঘটানো এবং বৃদ্ধির গতি বাড়ানোর সুযোগ করে দিয়েছে শিল্পগোষ্ঠীগুলির কাছে।’’ তাঁর মতে, ক্ষুদ্র ব্যবসা গোটা বিশ্বেই আর্থিক ক্ষত মেরামতিতে বড় ভূমিকা নিতে পারে। ভারতেও এই মডেল ফলপ্রসূ হবে বলেই জাকারবার্গের বিশ্বাস। জিয়ো এবং ফেসবুকের অংশিদারিত্বে এ দেশে ক্ষুদ্র ব্যবসা নতুন দিশা পাবে বলেও মত ফেসবুক কর্ণধারের। ডিজিটাল সোসাইটি গড়ার পক্ষেও এ দিন সওয়াল করেছে তিনি।
আরও পড়ুন: আসন থেকে হিঁচড়ে উপাধ্যক্ষকে ‘উৎখাত’ কর্নাটক বিধান পরিষদে
আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা ভোটে লড়বে আপ, যোগীকে বিঁধে ঘোষণা কেজরীবালের
মুকেশের মত, করোনার মতো অতিমারি বিপুল ক্ষয়ক্ষতি ঘটালেও, ‘সঙ্কটে থমকে যাওয়া ভারতের ডিএনএ-তে নেই’। তাঁর কথায়,‘‘আমার বিশ্বাস, সঙ্কটের সময় অনেক দামি। প্রত্যেক সঙ্কটের মধ্যেই বাড়বৃদ্ধির নতুন সুযোগ লুকিয়ে থাকে।’’ মুকেশের দাবি, অতিমারির সঙ্কটে প্রধানমন্ত্রী গোটা দেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
গত এপ্রিলেই জিয়ো প্ল্যাটফর্মে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৩ হাজার ৫৭৪ কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা করেছে জাকারবার্গের ফেসবুক। দুই সংস্থার মূল লক্ষ্য, দেশের ছোট মুদিখানা ও স্টেশনারি দোকানগুলিকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসা।