খরিফ মরসুমে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য মাত্র ৪ শতাংশ বাড়ল। আজ মোদী সরকার খরিফ মরসুমে ১৪টি ফসলের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বা এমএসপি ঘোষণা করেছে।
ধানের ক্ষেত্রে গত মরসুমের তুলনায় এমএসপি মাত্র ৭২ টাকা বেড়েছে। ধান, তুলো, সোয়াবিন, ভুট্টার ক্ষেত্রে এমএসপি বেড়েছে মাত্র ১ থেকে ৪ শতাংশ হারে। কিন্তু তিলের ক্ষেত্রে এমএসপি প্রতি কুইন্টালে ৪৫২ টাকা বেড়েছে। তুর, বিউলির ডালের ক্ষেত্রে এমএসপি ৩০০ টাকা বেড়েছে। কৃষি মন্ত্রকের দাবি, বাজরার ক্ষেত্রে কৃষকরা চাষের খরচের তুলনায় ৮৫ শতাংশ বেশি এমএসপি ঘোষণা করা হয়েছে। কেন্দ্র এখন চাষিদের পুষ্টিকর খাদ্যশস্য, ডাল, তৈলবীজ চাষের দিকে বেশি আগ্রহী করে তুলতে চাইছে। পাশাপাশি ডালের জন্য বিদেশ থেকে আমদানির উপরেও নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের দাবি, এর ফলে চাষিরাধান-গমের বাইরে অন্য ফসল চাষ করতে উৎসাহ পাবেন। কিন্তু কংগ্রেসের প্রশ্ন, যেখানে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধির হার ১০ শতাংশের ঘরে, সেখানে ধান, সোয়াবিন, তুলোয় এত কম হারে এমএসপি বাড়লে চাষিরা বাঁচবেন কী ভাবে?
কালই কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলন নিয়ে কৃষিমন্ত্রী জানান, মোদী সরকার তিন আইন ছাড়া আর সব বিষয়ে কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় রাজি। আজ কংগ্রেস এ জন্য তোমরের পদত্যাগ দাবি করেছে। তোমরের ব্যাখ্যা, ‘‘আমরা কৃষকদের সম্মান করি বলেই তাঁদের সঙ্গে ১১ বার বৈঠকে বসেছিলাম। কৃষকদের আপত্তি অনুযায়ী আইনে কিছু অসঙ্গতিও দূর করা হয়েছে। কিন্তু আইনে কোথায় আপত্তি, তার যুক্তিযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে হবে। সরকার দেড় বছরের জন্য আইন স্থগিত রাখতেও রাজি হয়েছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্য হল, কৃষক নেতারা সেই প্রস্তাবও মানেননি।’’