মোহিনী দে ও রহমানের বিবাহবিচ্ছেদ কি কাকতালীয়? মুখ খুললেন প্রেরণা অরোরা। ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ ২৯ বছরের দাম্পত্যে ইতি টানছেন এআর রহমান। বুধবার রাতে শিল্পীর স্ত্রী সায়রা বানুর আইনজীবী এই খবর প্রকাশ্যে আনেন। তার ঠিক পরের দিনই কাকতালীয় ভাবে প্রকাশ্যে আসে রহমানের গানের দলের বেসিস্ট মোহিনী দের বিবাহবিচ্ছেদের খবর। তার পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, কোনও ভাবে কি দুই বিচ্ছেদ পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত? নেটপাড়ায় দুইয়ে-দুইয়ে চার করা শুরু হয়। নিন্দকের দাবি, কোনও ভাবে কি এই বঙ্গতনায়র জন্যই এআর রহমান-সায়রার দাম্পত্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে?
সায়রার আইনজীবী স্পষ্ট করেন, সম্পর্কে তিক্ততার জন্যই এই বিচ্ছেদ। এর মধ্যে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির ভূমিকা নেই। এ বার প্রযোজক প্রেরণা অরোরা বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন। তাঁর দাবি, অযথাই দু’টি কাকতালীয় ঘটনা মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক সাক্ষাৎকারে প্রেরণা বলেছেন, “ওঁরা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বাচ্চারাও রয়েছে। কেন এই মুহূর্তে প্ররোচনামূলক মন্তব্য করে পরিস্থিতিকে কঠিন করে দেওয়া হচ্ছে?”
তিনি আরও বলেন, “এমন একটি স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে এই ভাবে দুইয়ে-দুইয়ে চার মিলিয়ে দিলে বিষয়টি ভয়ানক হয়ে উঠবে। বিচ্ছেদের পরে এক নতুন সমীকরণ তৈরি হয় দম্পতিদের মধ্যে। সেটার জন্য ওঁদের ব্যক্তিগত পরিসর অক্ষুণ্ণ রাখা উচিত। এই সময়ে যদি সকলে ওঁদের ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলে, তা হলে বিচ্ছেদের পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে ওঠে। ঐশ্বর্যা ও অভিষেকের কী অবস্থা হচ্ছে, দেখতে পাচ্ছেন তো? এটা ঠিক নয়। নানা রকমের গুঞ্জন ছড়ানোয় ওঁদের তো সমস্যা আরও বাড়ছে।”
বলিউডে রহমানের অসংখ্য সফল গান থাকতেও, কেন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন প্রেরণা। তিনি এ-ও মনে করেন, সৃজনশীল মানুষদের বিয়ে করা উচিত নয়। তাঁর কথায়, “ওঁরা শিল্পের সঙ্গে বিয়ে করেন। তাই বিয়ে করার পর সঙ্গী কখনও জীবনে অগ্রাধিকার পেতে পারেন না।”