লোকসভায় চলছে অধিবেশন। —ফাইল চিত্র
বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে আজ থেকে শুরু হওয়া সংসদের বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধ সংক্ষিপ্ত করার দাবি জানালেন বিভিন্ন দলের শতাধিক সাংসদ। তৃণমূলের তরফ থেকে স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে এই অধিবেশন স্থগিত করে দেওয়ার জন্য। সাংসদদের বক্তব্য, যে যার নিজের রাজ্যে ভোট নিয়ে চূড়ান্ত ব্যস্ত। ফলে সংসদে যোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সংসদীয় সূত্রের খবর, দাবি মেনে ২৬ মার্চের পরে অধিবেশন মুলতুবি করে দেওয়ার কথা
ভাবা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, তামিলনাড়ু, অসম এবং পুদুচেরির সাংসদদের (বিভিন্ন দলের) এখন শিয়রে শমন! নিজেদের নির্বাচনী এলাকায় রাতদিন ঘুরতে হচ্ছে তাঁদের। তার মধ্যে কোভিডের জন্য বিভিন্ন সাবধানতা নিতে হচ্ছে। আজ তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এবং লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যথাক্রমে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান এবং লোকসভার স্পিকারকে চিঠি লিখে অনুরোধ জানান অধিবেশন মুলতুবির। ডেরেক তাঁর চিঠিতে উল্লেখ করেছেন ২০০৮ এবং ২০১১ সালে বিধানসভা ভোটের কারণেই মুলতুবি হয়েছিল সংসদীয় অধিবেশন।
আজ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিন অবশ্য প্রায় গোটাটাই বানচাল হয়ে গিয়েছে পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধীদের হইচইয়ে। তবে স্থির হয়েছে, আগামিকাল থেকে সংসদের বাকি দিনগুলি অধিবেশন বসবে কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের মতোই। অর্থাৎ লোকসভা এবং রাজ্যসভা সমান্তরাল ভাবে সকাল ১১টা থেকে দু’টি আলাদা কক্ষে শুরু হবে আগে যেমন হত।
আজ রাজ্যসভায় সকাল থেকেই নতুন নিযুক্ত বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে পেট্রল, ডিজেল, রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হন। সঙ্গে যোগ দেন অন্যান্য বিরোধী সাংসদও। দফায় দফায় মুলতুবি করতে হয় রাজ্যসভা। লোকসভাতেও একই ভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিরোধিতার জেরে সংসদ মুলতুবি হয়। স্পিকার ওম বিড়লা বারবার বিরোধীদের কাছে আবেদন করেন আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে মহিলা সাংসদদের বলতে দেওয়া হোক। কিন্তু লোকসভার অকালি দলের মহিলা সাংসদ হরসিমরৎ কৌর জানান, আজ মহিলারাই সবচেয়ে বিপন্ন ভারতে। রান্নার গ্যাস এবং জ্বালানির দাম এভাবে বেড়ে যাওয়ায় দৈনন্দিন পণ্য যে ভাবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাচ্ছে তাতে বাড়ির মহিলারাও সঙ্কটে পড়েছেন। তবে একইসঙ্গে অকালি নেত্রী কংগ্রেসের দিকেও তোপ দাগেন পঞ্জাবেও একই ভাবে মূল্যবৃদ্ধি ঘটানোর অভিযোগে। লোকসভায় বিরোধীদের প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন তৃণমূলের সৌগত রায় ও শতাব্দী রায়।