(বাঁ দিক থেকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।
গত কাল লোকসভায় তৃণমূলের নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে সংসদে মুখ খোলার দাবি জানিয়েছিলেন। আজ তিনি বলেন, “বিধানসভায় নেওয়া প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় সরকারের নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর উচিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চলতি সঙ্কট নিয়ে কথা বলা। কেননা রাজ্যটি কেরল বা মধ্যপ্রদেশ নয়, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত ভাগ করে নেওয়া পশ্চিমবঙ্গ। পাশাপাশি সরকার কী করছে তা বিদেশমন্ত্রী অধিবেশন কক্ষে এসে বলুন।”
আজ বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন থামাতে ও সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে মুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করে সরব হলেন বিজেপি সাংসদদেরই একাংশ। আজ লোকসভায় শূন্য প্রহরে বঙ্গের সাংসদেরা নীরব থাকলেও, প্রতিবেশী দেশে হিন্দু-সহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপরে হামলার ঘটনাটি নিয়ে সরব হন মথুরার বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। তিনি বলেন, ‘‘আমি আশা করব দ্রুত বাংলাদেশের সরকার হিন্দুদের উপর অত্যাচার বন্ধে উদ্যোগী হবে।’’ এক জন কৃষ্ণ ভক্ত হিসেবে ইসকন প্রতিষ্ঠান ও কৃষ্ণ ভক্তদের উপর হামলা নিয়েও সরব হন তিনি। উজ্জ্বয়িনীর বিজেপি সাংসদ অনিল ফিরোজিয়া বলেন, ‘‘আমি চাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ওই সন্ন্যাসীকে জেলে থেকে বার করে নিয়ে আসুন।’’