পুণেয় দুর্ঘটনাগ্রস্ত পোর্শে গাড়ি। —ফাইল চিত্র।
নিজের রক্ত দিয়ে ছেলেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন মা, অপরাধের দায় থেকে।
পুণের রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ির ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু ঘটানো নাবালক যে ঘটনার সময় মত্ত ছিল, সেই তথ্য আড়াল করতে সরকারি হাসপাতালে তার রক্তের নমুনা অন্য কারও সঙ্গে বদলে দেওয়া হয়েছিল বলে আগেই দাবি করেছিল পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে সসুন হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় তাওরে, চিফ মেডিক্যাল অফিসার হরি হলনোর ও এক পিয়নকে। কোর্টে আজ পুলিশ দাবি করে, নাবালকের রক্তের নমুনা হরি ফেলে দিয়েছিলেন বলে যেমনটা আগে মনে করা হচ্ছিল, আদতে তা হয়নি। তিনি কোনও এক জনের হাতে সেটি দিয়েছিলেন। যা উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। কোর্টে পুলিশ দাবি করে, অভিযুক্তের রক্তের নমুনা কোনও মহিলার সঙ্গে বদল করা হয়েছিল। ধৃতদের পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ আজ ৫ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে কোর্ট। তদন্তকারীদের বক্তব্য, ওই নাবালকের বদলে তার মায়ের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়েছিল সসুন হাসপাতালে। সেই মহিলা রক্ত পরীক্ষার সময়েও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর খোঁজ মিলছে না দুই চিকিৎসক গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে।
ওই ঘটনার পুনর্নির্মাণের জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। পুণের এক পুলিশকর্তা জানান, খুনের তদন্তে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার দেহ শনাক্তকরণের জন্য অনেক সময় হয়ে থাকে। তবে ঘটনার পুনর্নির্মাণে আগে এই প্রযুক্তির ব্যবহার করেননি তাঁরা। তথ্য-প্রমাণ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে যাচাই করার প্রয়োজন হয়। এ ক্ষেত্রে ওই নাবালকের বাড়ি, রেস্তরাঁ, পানশালা, দুর্ঘটনাস্থল—ক্রম ধরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সেই দিনের সমস্ত ঘটনা এবং দুর্ঘটনার বিস্তারিত পুনর্নির্মাণ করা হচ্ছে। তা আদালতেও জমা দেওয়া হবে।
প্রচুর নজরদারি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ছবি সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই দুর্ঘটনার পরে ঘটনাস্থলের ছবিও তোলা হয়েছিল অনেক। সেগুলির জোগান দিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হচ্ছে ভার্চুয়াল মডেল। কম্পিউটারে গাড়ি-দৌড়ের গেম খেলার সময় যে ভাবে মডেলের ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ঢুকে মাথা ঘুরিয়ে দেখার মতো চারদিক এবং উপর-নীচ দেখা যায়, এ ক্ষেত্রেও সেই সুবিধা মেলে। ত্রিমাত্রিক ছবি পাওয়া যাবে।