মহারাষ্ট্রের পুণের ঘটনা। প্রতীকী ছবি।
২৮ বছরের প্রেমিকের সঙ্গে কিশোরী মেয়ের জোর করে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার মা। পাশাপাশি কিশোরী মেয়েকে প্রেমিকের সঙ্গে জোর করে যৌনসঙ্গমে বাধ্য করার অভিযোগও উঠেছে ওই মায়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মহিলার প্রেমিককেও গ্রেফতার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের পুণের ঘটনা।
শুক্রবার পুণের এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৩৬ বছর বয়সি অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে প্রেম ছিল ২৮ বছর বয়সি যুবকের। অভিযুক্তের এক কিশোরী মেয়ে আছে। অভিযোগ, সেই মেয়েকে জোর করে নিজের প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে যৌনসঙ্গমে বাধ্য করেন অভিযুক্ত মহিলা।
পুণের চন্দননগর থানার ওই আধিকারিক জানান, নির্যাতিতা নাবালিকার বয়স ১৫। সে নিজের সহপাঠীর কাছে পুরো বিষয়টি জানায়। এর পর এক জন সমাজকর্মীকেও নির্যাতনের কথা জানায় ওই কিশোরী। কিশোরী অভিযোগ করে, তার মা আত্মহত্যার হুমকি দিয়ে জোর করে ওই ব্যক্তির সঙ্গে ৬ নভেম্বর তার বিয়ে দেয়। আহমদনগরের একটি মন্দিরে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এর পর ওই ব্যক্তির সঙ্গে জোর করে সঙ্গম করতে বাধ্য করা হয় বলেও কিশোরী অভিযোগ করেছিল। এর পরই ওই সমাজকর্মী কিশোরীকে নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তার মা এবং মায়ের প্রেমিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুরো বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
গ্রেফতার হওয়া মহিলা এবং তাঁর প্রেমিক, দু’জনের বিরুদ্ধেই যৌন অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষা (পকসো) আইনের আওতায় মামলা রুজু হয়েছে বলেও ওই পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন।