—প্রতীকী চিত্র।
যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন তরুণী। কিন্তু তাঁর স্বামী ওই দুই সদ্যোজাতের পিতৃত্ব অস্বীকার করে বসেন। এর পরেই দুই সন্তানকে গলা কেটে খুন করলেন মা। পুলিশের কাছে অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
ঘটনাটি জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত তরুণীর স্বামী কর্মসূত্রে সৌদি আরবে থাকেন। কিছু দিন আগে ছুটি নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। তখনই তিনি দেখেন, স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। কিছু দিনের মধ্যে যমজ সন্তানের জন্মও দেন তরুণী। এর পরেই ওই সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেন যুবক। তাঁর অভিযোগ, স্ত্রীর সঙ্গে তিনি যথেষ্ট সময় কাটাননি। দীর্ঘ দিন পর বিদেশ থেকে বাড়িতে ফিরেছেন। এই সময়ের মধ্যে অন্য কোনও যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে সন্দেহ প্রকাশ করেন যুবক। তিনি জানান, ওই যমজ সন্তানের বাবা তিনি নন, অন্য কেউ।
এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তি হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অশান্তির মাঝে সদ্যোজাত যমজ সন্তানদের নিয়ে বাড়ির সামনের একটি মাঠে চলে গিয়েছিলেন তরুণী। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই সন্তানের গলা কেটে ফেলেন।
ঘটনার পর স্থানীয়েরা যমজ সন্তানকে হত্যার জন্য প্রথমে যুবককেই দায়ী করছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, স্ত্রীর উপর রাগ থেকে যুবক এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। তারা তদন্ত শুরু করে। তরুণীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জেরার মুখে তিনি খুনের কথা স্বীকার করে নেন। পুলিশকে তরুণী জানিয়েছেন, স্বামী যমজ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করতে না চাওয়ায় তিনি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। সেই কারণেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।