গুজরাতের হোটেলের বাইরে চাকরিপ্রার্থীদের হুড়োহুড়ি। ছবি: এক্স।
শূন্যপদ বেশি নয়, মাত্র ১০টি। তার জন্যই একটি হোটেলের বাইরে লাইন পড়ে গিয়েছিল চাকরিপ্রার্থীদের। হুড়োহুড়িতে একসময়ে পদপিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল বলে দাবি করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। তা এড়ানো গেলেও ভিড়ের চাপে ভেঙে গিয়েছে হোটেলের বাইরের রেলিং। বেশ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থী রেলিং ভেঙে নীচে পড়েও গিয়েছেন। গোটা ঘটনার ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। কয়েকটি রিপোর্টে দাবি, ১৮০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থী ওই হোটেলের সামনে ইন্টারভিউয়ের জন্য জড়ো হয়েছিলেন।
ভাইরাল ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, একটি হোটেলের সামনে শয়ে শয়ে চাকরিপ্রার্থী জড়ো হয়েছেন। দরজা দিয়ে ঢোকার সময়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে। হুড়োহুড়িতে রেলিংয়ের উপর চাপ বাড়ছিল। কিছু ক্ষণের মধ্যে রেলিংটি ভেঙে পড়ে। যাঁরা তার উপরে ছিলেন, তাঁরা পড়ে যান। তবে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। দ্রুত সামলে নেন চাকরিপ্রার্থীরা। ভাইরাল এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
এই ভিডিয়োকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে। মাঠে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। মাত্র ১০টি শূন্যপদের জন্য এত চাকরিপ্রার্থীর জড়ো হওয়াকে কটাক্ষ করে গুজরাতের বেকারত্বের দিকে আঙুল তুলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে কংগ্রেস লিখেছে, ‘‘এটাই হল মোদীর গুজরাত মডেল। ভারুচের একটি হোটেলে চাকরির জন্য বিপুল সংখ্যক বেকার যুবক জড়ো হয়েছিলেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয় যে, হোটেলের রেলিংটি ভেঙে পড়ে। মোদীর গুজরাত মডেলের মুখোশ খুলে গিয়েছে। এই বেকারত্বের মডেলই মোদী গোটা দেশে প্রয়োগ করছেন।’’
কংগ্রেসের পোস্টের জবাব দেওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। গুজরাত বিজেপি ওই ভিডিয়োর সঙ্গে হোটেলের চাকরির বিজ্ঞাপনটিও পোস্ট করেছে। তাতে চাকরির বিশদ বর্ণনা রয়েছে। বিজেপি লিখেছে, ‘‘একটি ভাইরাল ভিডিয়োর মাধ্যমে গুজরাতের বিজেপিকে বদনাম করার প্রচেষ্টা চলছে। এই ইন্টারভিউয়ের বিজ্ঞাপনটিতে পরিষ্কার বলা রয়েছে, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মী নিয়োগ করা হবে। এর অর্থ হল, যাঁরা এই ইন্টারভিউয়ের জন্য জড়ো হয়েছিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই অন্যত্র চাকরি করেন। ফলে এঁরা সকলে বেকার, এই তত্ত্ব ঠিক নয়। গুজরাতের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।’’