৫৪ শতাংশ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া খবরে বিশ্বাস রাখেন। প্রতীকী ছবি।
হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া খবরই অধিকাংশ ভারতীয়র কাছে বিশ্বাসযোগ্য। গত বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘রয়টার্স ইনস্টিটউট ফর দ্য স্টাডি অফ জার্নালিজম’-এর এক প্রকাশিত গবেষণায় এমন তথ্যই প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যমে খবরের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে ভারত, ব্রাজিল, ব্রিটেন, আমেরিকার মতো দেশে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে খবর নিয়ে সাধারণ মানুষ কী ভাবছেন, এর আভাস পেতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৭৭ শতাংশ ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের উপর আস্থা রাখেন। তাঁদের মধ্যে ৫৪ শতাংশ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়া খবরে বিশ্বাস রাখেন। গুগ্ল ও ইউটিউবে খবরের উপর ভরসা রাখেন ৫১ শতাংশ মানুষ। ফেসবুকে খবরে আস্থা রাখেন ৪১ শতাংশ ভারতীয়। ইনস্টাগ্রাম ও টুইটারে এই হার যথাক্রমে ২৭ ও ২৫ শতাংশ।
সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সমর্থনে যাঁরা মতামত ব্যক্ত করেন, তাঁদের মধ্যে ৭০ শতাংশ মানুষ হোয়াটসঅ্যাপের খবরে বিশ্বাস করেন। ৪৮ শতাংশ ভারতীয় জানিয়েছেন, দিনে তাঁরা এক বার অনলাইনে খবর পান। এই হার ওই চার দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম। ৩৪ শতাংশ ভারতীয় জানিয়েছেন যে, অনলাইন মাধ্যম থেকে তাঁরা কখনই খবর পান না। ৪৬ শতাংশ ভারতীয় জানিয়েছেন, তাঁরা রোজ হোয়াটসঅ্যাপ থেকে খবর পান।
রাজনৈতিক খবরে আগ্রহ রয়েছে এমন ভারতীয়দের মধ্যে ৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন যে, তাঁরা খবরের জন্য ইউটিউবকে ভরসা করেন। তবে যাঁদের রাজনৈতিক খবরে উৎসাহ নেই, তাঁরা খবরের উৎস হিসাবে হোয়াটসঅ্যাপকে প্রাধান্য দেন।
মুঠোফোনেই গোটা দুনিয়া সম্পর্কে মুহূর্তের মধ্যে সব খবর পাওয়া যায়। যত দিন গড়াচ্ছে, প্রযুক্তির ততই নতুন দিগন্ত খুলছে। এই প্রেক্ষাপটে হোয়াটসঅ্যাপের উপর মানবজাতির নির্ভরতা ক্রমশ বাড়ছে। বিশ্বের যে কোনও প্রান্তের খবর ইদানীং হোয়াটসঅ্যাপে সহজেই পাওয়া যায়। আবার, এর অন্য দিকও রয়েছে। ইদানীং ভুয়ো খবরের রমরমাও বাড়ছে। হোয়াটসঅ্যাপে সহজেই ভুয়ো খবর ছড়ানো হয় বলে বার বার অভিযোগ এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এই সমীক্ষা তাৎপর্যপূর্ণ।