রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে কাশ্মীর নিয়ে পুরনো অবস্থানে ফিরল পাকিস্তান। রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় বক্তৃতায় পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শুক্রবার ভারতের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের সওয়ালের পাশাপাশি সরব হলেন জম্মু ও কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের প্রসঙ্গে। তিনি বলেন, ‘‘২০১৯-এর অগস্টের অবৈধ পদক্ষেপ প্রত্যাহার করে শান্তি এবং আলোচনার রাস্তায় ফেরা উচিত ভারতের।’’ সেই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, কাশ্মীর উপত্যকার জনবিন্যাস বদলের পরিকল্পনা করছে নয়াদিল্লি।
পাক প্রধানমন্ত্রী পদে শরিফের পূর্বসূরি ইমরান খানও অতীতে কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বাতিল নিয়ে ভারতে দুষেছেন। এ প্রসঙ্গে দিল্লি অবশ্য নিজেদের অবস্থানে অনড়। কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তাতে পাকিস্তানের নাক গলানো উচিত নয় বলে আগেই জানানো হয়েছে। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়তে নারাজ ইসলামাবাদ। মুখে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার কথা বললেও, প্রতি বারই আন্তর্জাতিক মঞ্চ ব্যবহার করে ভারতকে দোষারোপের চেষ্টা করেন পাক পূর্বসূরি। শাহবাজও সেই ধারাই বজায় রেখেছেন।
রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে শাহবাজ অভিযোগ করেছেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনা ধারাবাহিক ভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে সেখানকার জনবিন্যাসের চরিত্র বদলের চেষ্টা চলছে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরকে হিন্দুগরিষ্ঠ কাশ্মীরে পরিণত করতে চাইছে ভারত।’’ অতীতে শাহবাজের দাদা নওয়াজ পাক প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় একই ভাবে নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছিলেন ভারতীয় সেনার বিরুদ্ধে। বলেছিলেন, “ভারত-পাক সম্পর্কের মূল বিষয় কাশ্মীর। তার উপরে পর্দা টেনে রাখা সম্ভব নয়।’’ পাকিস্তানের এই আক্রমণের জবাব রাষ্ট্রপুঞ্জের ৭৭তম সাধারণ সভায় ভারত দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে, রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনের মঞ্চ ফের ভারত-পাক বাগ্যুদ্ধের ক্ষেত্রে হয়ে উঠতে চলেছে বলে ধারণা কূটনীতিকদের।