অমিত শাহ (বাঁ দিকে) এবং অশ্বিনী বৈষ্ণব। —ফাইল চিত্র।
কর্মীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের নিরিখে পয়লা নম্বর স্থান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের। কোনও বিরোধী দলের অভিযোগ নয়, এমন তথ্য উঠে এসেছে কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশনের বার্ষিক রিপোর্টে। কমিশনের সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের সব মন্ত্রক মিলিয়ে মোট ১,১৫,২০৩টি দুর্নীতির অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগগুলি এখানে সামগ্রিক ভাবে কোনও মন্ত্রকের বিরুদ্ধে নয়, মন্ত্রকগুলিতে কর্মরত কর্মী এবং আধিকারিকদের বিরুদ্ধে।
পরিসংখ্যান বলছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্মী-আধিকারিকদের পর সব চেয়ে বেশি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে রেল এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে কাজ করা কর্মীদের বিরুদ্ধে। এক বছরে কর্মীদের দুর্নীতি সংক্রান্ত ৪৬,৬৪৩টি অভিযোগ পেয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সেখানে রেল এবং ব্যাঙ্ক পেয়েছে যথাক্রমে ১০,৫৮০ এবং ৮,১২৯টি অভিযোগ।
এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক জানান, কমিশনের তরফে মুখ্য ভিজিল্যান্স আধিকারিককে তিন মাসের মধ্যে অভিযোগগুলির সারবত্তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন একটি স্বশাসিত সংস্থা, যারা মূলত কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত সংস্থাগুলিতে পরিকল্পনা, সেগুলির প্রয়োগ কিংবা সংস্কারের বিষয়ে নিবিড় ভাবে নজরদারি চালায়।