মেদ ঝরাতে ভরসা রাখুন ফলেই। ছবি: শাটারস্টক।
অনলাইনে হালফ্যাশনের পোশাক দেখেই যেন হাত নিশপিশ করছে! পুজো আসতে আর মাত্র বাকি মাস দুয়েক। তবে এত বিকল্প দেখেও কেনার কথা ভাবলে মাথায় চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আপনার বাড়তি ওজন। জীবনযাপনে অনিয়মের ফলে কেবল পেটই নয়, মেদ জমেছে শরীরের আনাচকানাচে। পুজোর আগে কয়েক কেজি ওজন ঝরিয়ে তন্বী হতে চান? রোজের ডায়েটে কিছু ফল রাখলেই ঝরতে পারে আপনার ওজন। জেনে নিন কোন কোন ফল দ্রুত মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন ঝরানোর ডায়েটে মরসুমি ফল রাখতেই হবে। তবে মেদের বাড়াবাড়ি রুখতে গেলে এমন কিছু ফলই পাতে রাখতে হবে, যা খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবে। ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে ফল খেতে হলে ক্যালোরির মাত্রার কথা মাথায় রেখে ফল বাছা উচিত।
১। পেয়ারা: এই ফলে উচ্চ মাত্রায় ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পেয়ারা যেমন কাজে আসে, এর গ্লাইসেমিক রেট কম হওয়ায় ওজন কমাতেও সাহায্য করে। একটি মাঝারি মাপের পেয়ারায় থাকে ৩৭ ক্যালোরি। এই ফল থেকে একটুও কোলেস্টেরল পাওয়া যায় না। তাই ওজন কমানোর ডায়েটে নিশ্চিন্তে এই ফল রাখা যায়।
২। আপেল: ক্যালোরির মাত্রা কম অথচ উচ্চ ফাইবার-যুক্ত আপেল ওজন কমাতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি মাপের একটি আপেল থেকে ১১৬ ক্যালোরি মেলে ও ৪.৪ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়। ওজন ঝরিয়ে ছিপছিপে শরীর পেতে ডায়েটে যত ফাইবার রাখা যায় ততই ভাল।
ওজন ঝরানোর লক্ষ্যে ফল খেতে হলে ক্যালোরির মাত্রার কথা মাথায় রেখে ফল বাছা উচিত। ছবি:শাটারস্টক।
৩। স্ট্রবেরি: মাত্র ১৫০ গ্রাম স্ট্রবেরিতে থাকে ৫০ ক্যালোরি। এই ফল পেট ভরায় যথেষ্ট। সুতরাং লো ক্যালোরির এই ফল ওজন কমাতে সাহায্য করে। শুধু তা-ই নয়, রক্তচাপ কমানো ও প্রদাহ রুখতেও এই ফল বেশ কার্যকর।
৪। কিউয়ি: সংক্রমণ রুখতে এই ফলের জুড়ি মেলা ভার। প্রচুর ভিটামিন সি-এর উপস্থিতির কারণে শুধু ত্বকের জেল্লা বাড়াতে নয়, এই ফল ওজন জরাতেও সাহায্য করে। কিউয়ি ফলের বীজও অদ্রবীভূত ফাইবারের অন্যতম উৎস, যা হজমপ্রক্রিয়াকে ভাল করতে সাহায্য করে। খিদে কমাতেও সাহায্য করে এই ফল।
৫। কমলালেবু বা লেবু: কমলালেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমিয়ে ফেলতে সাহায্য করে। একটা ছোট কমলালেবু থেকে ৪৫ ক্যালোরি মেলে। তবে ফলের রস খাওয়ার চেয়ে গোটা একটি কমলালেবু চিবিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে বেশি উপকার মেলে। এ ছাড়া রোজ সকলে গরম জলে লেবু মিশিয়ে খান। এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বার করতে সাহায্য করে, বিপাকহার বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।