—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এক দিনে প্রায় ৮০০ জন মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হলেন দেশে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৭৯৮ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। এই মুহূর্তে মোট করোনা সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৪,০৯১ জন।
এক দিনে পাঁচ জনের মৃত্যুও হয়েছে করোনায়। তাঁদের মধ্যে দু’জন কেরলের বাসিন্দা। এ ছাড়া, মহারাষ্ট্র, পুদুচেরি এবং তামিলনাড়ু থেকে এক জন করে বৃহস্পতিবার করোনার কারণে মারা গিয়েছেন।
করোনার যে নতুন উপরূপ সম্প্রতি বিশ্ব জুড়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বাড়িয়েছে, ভারতেও সেই জেএন.১ রয়েছে। এই মুহূর্তে ওই উপরূপ রয়েছে দেশের মোট ১৫৭ জন করোনা রোগীর শরীরে। তাঁদের মধ্যে সংখ্যাটা কেরলেই সবচেয়ে বেশি। দক্ষিণের ওই রাজ্যে মোট জেএন.১-যুক্ত রোগীর সংখ্যা ৭৮ জন। এ ছাড়া, গুজরাতে ৩৪, গোয়ায় ১৮, কর্নাটকে আট, মহারাষ্ট্রে সাত, রাজস্থানে পাঁচ, তামিলনাড়ুতে চার, তেলঙ্গানায় দুই এবং দিল্লিতে এক জনের শরীরে উপরূপটি পাওয়া গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও কারও দেহে জেএন.১ মেলেনি।
শীতের মরসুমে গত কয়েক সপ্তাহে দেশে করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। বিভিন্ন রাজ্যে ধারাবাহিক ভাবে সংক্রমণ বেড়েছে। শীর্ষে রয়েছে কেরল এবং কর্নাটক। গুজরাত, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুও খুব একটা পিছিয়ে নেই। করোনার উপরূপ জেএন.১-এর হদিস প্রথম মেলে কেরলে।
গত সেপ্টেম্বরে আমেরিকায় প্রথম জেএন.১-এর উপস্থিতি টের পাওয়া গিয়েছিল। তার পর থেকে একে একে ইউরোপের দেশগুলিতেও করোনার নতুন উপরূপ ছড়িয়ে পড়ে। চিনের হাসপাতালে ভিড় বাড়তে শুরু করে করোনা রোগীর। তবে এখনও পর্যন্ত জেএন.১-এ মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার নতুন এই উপরূপ আগের মতো ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে না। তবে চারদিকে যে হারে সংক্রমণ বাড়ছে, তাতে সতর্ক এবং সাবধানে থাকার পরামর্শই দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।