—প্রতীকী ছবি।
শ্রেণিকক্ষের অবস্থা শোচনীয়, স্কুল তৈরির জন্য জমির অভাব এমনকি ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিও কম— গুজরাতের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার বিধানসভা চলাকালীন খুঁটিনাটি জানান গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী কুবের দিন্দোর। মঙ্গলবার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে কংগ্রেস বিধায়ক কিরীট পাটেল গুজরাতের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
কিরীট বলেন, ‘‘বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর শুধুমাত্র প্রচারই হয়েছে। কাজের কাজ কিছু হয়নি। মডেল রাজ্য তৈরি করতে গিয়ে শিক্ষাব্যবস্থার দিকে নজর দেওয়া হয়নি। শিক্ষাব্যবস্থার উন্নতির দিক থেকে ভারতের প্রথম পাঁচটি রাজ্যের মধ্যেও নাম লেখাতে পারেনি গুজরাত।’’
২০২৩ সালের রিপোর্ট ঘাঁটলে দেখা যায়, গুজরাতের প্রাইমারি স্কুলগুলির ২৫ শতাংশ পড়ুয়া গুজরাতি ভাষা পড়তে অক্ষম। ৪৭.২০ শতাংশ পড়ুয়া পড়তে পারে না ইংরেজি ভাষা। কুবের জানান, গুজরাতে মোট ৩৪১টি প্রাইমারি স্কুল রয়েছে যেখানে ক্লাসরুমের সংখ্যা মাত্র একটি।
২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত রিপোর্ট দেখলে জানা যায়, ১৪০০-র বেশি পদ এখনও ফাঁকা রয়েছে শিক্ষা দফতরে। কুবের বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত মাত্র ৭৮১টি পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ১৪৫৯টি পদ এখনও শূন্য রয়েছে।’’ তবে খুব তাড়াতাড়ি সেই শূন্যপদগুলিতে চাকরি দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন কুবের।
স্কুলের নতুন ক্লাসরুম তৈরিরও পরিকল্পনা করেছে রাজ্য সরকার, এমনটাই দাবি কুবেরের। রাজ্য সরকারের তরফে এখনও পর্যন্ত ৬৫ হাজার ‘স্মার্ট ক্লাসরুম’ তৈরি করা হয়েছে। আরও ৪৩ হাজার ‘স্মার্ট ক্লাসরুম’ নির্মীয়মাণ অবস্থায় রয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলিতে পাঁচ হাজার ল্যাব তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। নতুন করে আরও ১৫ হাজার ল্যাব তৈরির চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।