গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ
করোনা দেশে আসার পর কোনও রাজ্যে কখনওই সংক্রমণ এক দিনে প্রায় ২৬ হাজারের ঘরে পৌঁছয়নি। মহারাষ্ট্রে যা গত ২৪ ঘণ্টায় দেখা গিয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সে রাজ্যে আক্রান্ত মোট ২৫ হাজার ৮৩৩ জন। এই একই সময়ের মধ্যে সে রাজ্যে ৫৮ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বৃহস্পতিবারের প্রকাশিত রিপোর্টে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২৩ হাজারের কিছু বেশি, কিন্তু শুক্রবার সেই সংখ্যা এক লাফে ২৫ হাজার ছাড়িয়ে গেল। শুধু মুম্বইয়েই এক দিনে আক্রান্ত ৫ হাজারের বেশি। করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গে নাজেহাল বাণিজ্যনগরী মুম্বই তথা মহারাষ্ট্র।
ফলে শুক্রবারের হিসাব অনুসারে দেশে এখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ১৫ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৩১। এর মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লক্ষ ৭১ হাজার ২৮২। শেষ ২৪ ঘণ্টার সারা দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২৬ জন। যার অর্ধেকের বেশি, অর্থাৎ ২৫ হাজারের বেশি রয়েছেন মহারাষ্ট্রে। দেশে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লক্ষ ৫৭ হাজার ৩৮৩ জনের। দেশে ২৪ ঘণ্টায় ১৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মোট মৃত্যু দেশে ১ লক্ষ ৫৯ হাজার ৩৭০। দেশের মোট মৃত্যুর প্রায় ৪৬ শতাংশই মহারাষ্ট্রে।
মহারাষ্ট্রের পালঘরে করোনা সংক্রমণের কারণে ফের অনির্দিষ্টকালের জন্য স্কুল ও কলেজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শহরের সরকারি ও বেসরকারি হোস্টেলও ২৩ মার্চ থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দেশের করোনা সক্রিয় রোগীর ৬০ শতাংশ মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। মুম্বইয়ে করোনা সংক্রমণ রুখতে সব শপিং মলে করোনার র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহন্মুম্বই প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের হিসাব অনুসারে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৩ কোটি ৯৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮১৭ জনকে করোনার টিকা দেওয়ার সম্ভব হয়েছে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় ২১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৫৬২ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর এসেছে অন্য রাজ্য থেকেও। হঠাৎ করে রাজস্থানে থেকে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির খবর মিলেছে।সেখানে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টায় ৩২৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। পরিস্থিতি খারাপ পঞ্জাবেও। বৃহস্পতিবার পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমিত আটটি জেলাতে রাত ১১টার বদলে রাত ৯ টায় রাত্রিকালীন কার্ফু জারি করা হবে।
বিশ্বের পরিস্থিতিও খুব একটা ভাল নয়। ফ্রান্সে করোনার নতুন প্রজাতির সংক্রমণ ভয় ধরিয়েছে। ফরাসি প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্যারিসে এক মাসের টানা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।