প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরেই নতুন করে অশান্ত হয়েছে মণিপুর। অসম সীমানা সংলগ্ন জিরিবাম জেলায় বৃহস্পতিবার থেকে মেইতেই এবং কুকি জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষের জেরে নতুন করে মৃত্যু এবং ঘর ছাড়ার ঘটনা ঘটেছে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, কুকি জঙ্গিদের হামলার মুখে ইতিমধ্যেই অন্তত ২০০ মেইতেই গ্রামবাসী এলাকা ছেড়েছেন। তাঁদের ঠাঁই হয়েছে স্থানীয় জিকি স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ত্রাণশিবিরে। জিরিবাম জেলার লামতাই খুনউ, দিবং খুনউ, নুনখাল এবং বেগরা গ্রামে সন্দেহভাজন কুকি জঙ্গিরা মেইতেইদের বহু বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ। কুকিদের উপর পাল্টা হামলা এবং বাড়িঘর পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে মেইতেই সংগঠন আরাম্বাই টেঙ্গলের সদস্যদের বিরুদ্ধে।
গত এক বছরের গোষ্ঠীহিংসা পর্বে জিরিবামে কোনও বড় হিংসা না ঘটলেও লোকসভা ভোটের পর বদলে গিয়েছে ‘চিত্র’। বৃহস্পতিবার বিকেলে জিরিবাম গুলালতল এলাকার পরিচিত ব্যবসায়ী এস শরৎ কুমার সিংহের গলাকাটা দেহ ফাইজল পুঞ্জির জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই এলাকায় কুকি সম্প্রদায়ের বসতি থাকায় খুনের ঘটনায় জনজাতিদের অভিযুক্ত করে উত্তেজিত জনতা থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায়। ভোটের আগে জমা নেওয়া লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্র ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানায় তারা। পরে জিরিবাম শহর-সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে প্রায় ২৫টি বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তার জবাবে জেলা সদর থেকে ২৫-৩০ কিলোমিটার দূরে দুর্গম গ্রামগুলিতে মেইতেই বসতিগুলির উপর সশস্ত্র কুকি বাহিনী চড়াও হয় বলে অভিযোগ।
এনডিএ সরকারের শপথগ্রহণে যোগ দিতে শুক্রবার দিল্লি গিয়েছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ ও রাজ্য বিজেপির সভানেত্রী সারদা দেবী। যদিও এ বার সে রাজ্যের শাসকদল বিজেপি লোকসভা ভোটে শোচনীয় ফল করেছে। পেয়েছে মাত্র সাড়ে ১৬ শতাংশ ভোট। প্রায় ৪৮ শতাংশ ভোট পেয়ে মণিপুরের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রই দখল করেছে কংগ্রেস। এমনকি, শতাংশের হিসাবে নাগা জনগোষ্ঠীর দল এনপিএফ-ও বিজেপির চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে।