ছবি: এএফপি।
দেশের ৫০টি সব চেয়ে বেশি করোনা-আক্রান্ত পুরসভা এলাকায় সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৫টি রাজ্যে কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। সম্প্রতি দেশ জুড়ে ৭০টি জেলায় ‘সেরো সার্ভে’ (রক্তে রোগ-প্রতিরোধক অ্যান্টিবডির উপস্থিতি বিষয়ক সমীক্ষা) চালিয়ে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছে, সরকারি ভাবে যত সংখ্যক রোগী করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং প্রকৃত সংক্রমিতের যা সংখ্যা, তার মধ্যে বিস্তর ফারাক। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সূত্রের মতে, যে হারে দেশে করোনা ছড়াচ্ছে তা রুখতে আবার দু’সপ্তাহের মতো লকডাউনের প্রয়োজন রয়েছে। সংক্রমণ বাড়ছে দেখে কর্মিবর্গ মন্ত্রক নির্দেশ দিয়েছে, প্রতিটি দফতরে একসঙ্গে ২০ জনের বেশি কর্মীর উপস্থিতি যেন না-হয়।
সার্বিক ভাবে কেন্দ্র দেখেছে, ১৫টি রাজ্যের ৫০টি পুর এলাকায় সংক্রমণের হার সব চেয়ে বেশি। আজই সংক্রমণে উহানকে পেরিয়ে গিয়েছে মুম্বই। এ ছাড়া, পুণে, ইনদওর, আমদাবাদ, দিল্লিতেও সংক্রমণের হার জাতীয় গড়ের চেয়েও অনেক বেশি। তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের তিনটি পুর এলাকাও। ওই এলাকাগুলিতে সংক্রমণ রোখার কাজে সাহায্য করতে তিন সদস্যের কেন্দ্রীয় দল আসছে। পশ্চিমবঙ্গের দলে দু’জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, এক জন যুগ্মসচিব পর্যায়ের অফিসার থাকবেন। অফিসারের কাজ হবে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে সমন্বয়ের বিষয়টি দেখা। আগামী দু’মাসে পরীক্ষা বাড়ানো থেকে শুরু করে করোনা রোগীদের শয্যার ঘাটতি যাতে না-হয় তা দেখা, সংক্রমণ আচমকা বাড়লে সামাল দেওয়া— সবেতেই সহায়তা করবে তারা।
আরও পড়ুন: করোনায় বেড়েছে জল-খরচ, আরও দ্রুত জলস্তর নামার আশঙ্কা
‘সেরো’ সমীক্ষায় প্রায় ২৪ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে আইসিএমআর বলেছে, কিছু কন্টেনমেন্ট এলাকার ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ অজান্তেই করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এবং অধিকাংশই সুস্থ হয়েছেন। তাঁদের সংক্রমণের বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই সরকারের কাছে। তবে প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হওয়া যেমন দুশ্চিন্তার, তেমনই আশার বিষয়, জনগোষ্ঠীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠতে শুরু করেছে।