বারান্দার বাগান ভরে উঠুক ফলমূলে। ছবি: সংগৃহীত।
ঠাকুরমা-ঠাকুরদার কাছে তাঁদের গাছ থেকে ফল পেড়ে খাওয়ার গল্প শুনে, চোখ চকচক করে ওঠেনি, সেই সংখ্যা হাতেগোনা। শহরাঞ্চলে যাঁদের বড় হয়ে ওঠা, বনে-বাদাড়ে ঘুরে গাছ বেয়ে উঠে ফলমূল পেড়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁদের কাছে রূপকথার গল্পের চাইতে কিছু কম নয়। গাছ থেকে ফল পাড়ার সেই আনন্দ শহরে খুঁজে পাওয়া মুশকিল, তবে না মুমকিন নয়! অনেকেই বা়ড়ির বারান্দার স্বল্প জায়গাতেই একফালি বাগান তৈরি করে ফেলেছেন। সেই ছোট্ট বাগানে চাইলেই ফলাতে পারেন ফলের গাছ। কোন ফলের গাছগুলি বারান্দায় দিব্যি বেড়ে উঠতে পারে?
পেঁপে
বারান্দায় পেঁপে গাছ যে বড় করা যায়, সেটা অনেকেই জানেন না। এই শীতে পেঁপের চারা কিনে বারান্দার টবে বসাতেই পারেন। তবে পেঁপে গাছ বড় করার কিছু কৌশল রয়েছে। পর্যাপ্ত জল, হাওয়া, আলোর জোগান দিতে হবে। মাটি এবং সারের গুণমানও ভাল হওয়া চাই। এই দিকগুলিতে নজর দিলে পেঁপের ফলন ভাল হবে।
স্ট্রবেরি
শীতে বারান্দার বাগান জুড়ে স্ট্রবেরির গোলাপি আভা। এমন দৃশ্য ভাবলেই মন খুশিতে ভরে ওঠে। স্ট্রবেরির গাছ খুব দ্রুত বড় হয়। যত্নআত্তির পরিশ্রমও কম। কম যত্নেই তরতরিয়ে বেড়ে ওঠে স্ট্রবেরির গাছ। তবে স্ট্রবেরি গাছের ক্ষেত্রে টব খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ জায়গা দরকার হয় না। তাই স্ট্রবেরি গাছ সরু টবেই পুঁততে পারেন। সমস্যা হবে না।
লেবু
বারান্দার বাগানে পাতিলেবুর গাছ অনায়াসে ফলাতেই পারেন। তবে সব্জি না ফল, লেবুকে কোন গোত্রে ফেলা হবে, তা নিয়ে চর্চা চলতেই থাকে। তবে লেবুকে যাঁরা ফল হিসাবে দেখেন, বাগানে এই গাছের চারা পুঁততেই পারেন। পাতলা টিস্যুতে লেবুর বীজ মুড়িয়ে মাটিতে পুঁতে দিলেই হবে। তার পর নিয়মিত জল, হাওয়া যাতে পায়, সেদিকটা নিশ্চিত করলেই লেবুর গাছ বড় হয়ে উঠবে।