মুম্বই বিএমডব্লিউ-কাণ্ডে অভিযুক্ত মিহির শাহ। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
মুম্বই বিএমডব্লিউ-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত মিহির শাহের মুক্তির আবেদন খারিজ করে দিল বম্বে হাই কোর্ট। বিচারপতি ভারতী ডাংরে ও বিচারপতি মঞ্জুষা দেশপাণ্ডের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, মিহিরের দাবি মানা সম্ভব নয়। তাঁর গ্রেফতারিও বৈধ।
গত অগস্ট মাসে বম্বে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মিহির। তাঁর আইনজীবীর দাবি ছিল, বেআইনি ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে মিহিরকে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৫০তম ধারায় বর্ণিত যথাযথ প্রক্রিয়াও মানা হয়নি। অবিলম্বে মিহিরের মুক্তির আবেদনও করেন তিনি। এই মর্মে হাই কোর্টে একটি হেবিয়াস কর্পাস পিটিশনও দাখিল করা হয়।
মুম্বই বিএমডব্লিউ-কাণ্ডে অভিযুক্ত ২৪ বছর বয়সি মিহির শাহ মহারাষ্ট্রের শাসক জোটের সদস্য শিন্ডেসেনার নেতা রাজেশ শাহের পুত্র। চলতি বছরের জুলাই মাসে মুম্বইয়ের ওরলিতে বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ সেডান চালিয়ে বাড়ি ফেরার সময় একটি স্কুটারে ধাক্কা মারেন মিহির। তার জেরে মৃত্যু হয় স্কুটার আরোহী কাবেরী নাকওয়ারের। গুরুতর আহত হন কাবেরীর স্বামীও। এর পরেই বেগতিক বুঝে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান মিহির। প্রায় দিন তিনেক গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর নাটকীয় ভাবে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জামিন পেয়ে যান তিনি।
পরে তদন্তে নেমে জানা যায়, দুর্ঘটনার আগের রাতে বন্ধুদের সঙ্গে জুহুর একটি বারে মদ্যপান করেছিলেন তিনি। তিন বন্ধু মিলে পান করেন ১২ পেগ হুইস্কি। দুর্ঘটনার সময়েও মত্ত অবস্থাতেই ছিলেন মিহির। এর পর গ্রেফতার হন মিহিরের রাজনীতিক বাবাও। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান। তাঁকে দল থেকেও বহিষ্কার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক রাজঋষি বিদাওয়াতকেও। দুর্ঘটনার পর তিনি মিহিরকে সরিয়ে চালকের আসনে বসেছিলেন বলে অভিযোগ। এখনও বিচারবিভাগীয় হেফাজতেই রয়েছেন মিহির এবং রাজঋষি।