মোরবী বিপর্যয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে অন্য তম হলেন বসন্ত গজেরা। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
গুজরাতের মোরবীতে এখন শোকের আবহ। সেতু বিপর্যয়ে কেউ হারিয়েছেন তাঁর পুরো পরিবারকে। কেউ হারিয়েছেন তাঁর সন্তানদের। অনেক শিশু আবার অনাথ হয়ে গিয়েছে। সরকারি সহযোগিতা ছাড়াও ব্যক্তিগত উদ্যোগে অনেকেই মোরবীর স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। গুজরাতে যখনই কোনও বড় বিপর্যয় ঘটে, সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় সুরত। এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
তবে সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে এক ব্যবসায়ীর ব্যক্তিগত উদ্যোগ। তিনিও সুরতের এক হিরে ব্যবসায়ী। নাম বসন্ত গজেরা। তিনি ঘোষণা করেছেন, এই দুর্ঘটনায় যে সব ছেলেমেয়ে তাদের অভিভাবকদের হারিয়েছে, সেই সব অনাথদের দেখাশোনা করার পুরো দায়িত্ব নেবেন তিনি। শুধু দায়িত্ব নেওয়াই নয়, তাঁদের নিজের পায়ে দাঁড় করানো পর্যন্ত সহযোগিতা করে যাবেন।
তাঁর কথায়, “এই দুর্ঘটনায় যে সব ছেলেমেয়ে অনাথ হয়ে গিয়েছে, তাদের দায়িত্ব নেব। এদের শিক্ষা থেকে শুরু করে চাকরি পাওয়া পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করব।” বাৎসল্যধাম নামে গজেরার একটি শিক্ষায়তন রয়েছে। সেখানে একশোরও বেশি অনাথ শিশুদের নিখরচায় পড়ানো হয়। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত সেই সব শিশুদের সব খরচ বহন করেন গজেরা।
গত রবিবার মোরবীতে মাচ্ছু নদীতে প্রায় ৪০০ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ে ঝুলন্ত সেতু। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩৫ জনের। আহত বহু।