মোরবীতে সেতু বিপর্যয়ে ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ফাইল চিত্র।
গুজরাতের মোরবীতে সেতু বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রথম থেকেই বরাত পাওয়া সংস্থার দিকে গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল। এ বার ঘড়ি প্রস্তুতকারক সেই সংস্থা ‘ওরেভা’র বিরুদ্ধে আরও এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। মোরবীতে শতাব্দীপ্রাচীন সেতু সংস্কারের জন্য মোট ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ আমলের তৈরি ওই ঝুলন্ত সেতু সংস্কারের জন্য মাত্র ১২ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল ওই সংস্থা। তদন্তে এমন তথ্যই উঠে এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, মোরবীর ওই সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওই সংস্থার সঙ্গে ১৫ বছরের চুক্তি হয়েছিল। গত ২৪ অক্টোবর ওই সংস্থার চেয়ারম্যান জয়সুখ পটেল জানিয়ে দেন যে, সেতুটির সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। সেই মতো সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। গত ৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় আচমকা মাচ্ছু নদীর উপর ওই সেতু ভেঙে পড়ে। যার জেরে ১৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। জখম হয়েছেন আরও অনেকে।
এই ঘটনায় প্রথম থেকেই সেতু সংস্কারকারী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। ঘড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ‘ওরেভা’কে কেন সেতু সংস্কারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেতুটি সংস্কারের জন্য মোট বরাদ্দ করা অর্থের সামান্য অংশ তারা খরচ করেছে। সেতু সংস্কারের কাজের দক্ষতা ছিল না ওই সংস্থার। তাই সেতুর সংস্কারের জন্য ‘দেবপ্রকাশ সলিউশনস’ নামে ধ্রাংধরার একটি সংস্থাকে তারা ঠিকা দিয়েছিল। তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, যে সংস্থাকে ঠিকা দিয়েছিল এ কাজের জন্য ‘ওরেভা’, তারাও এ কাজের প্রযুক্তিগত বিষয়ে সে ভাবে অবগত ছিল না। জানা গিয়েছে, সেতু মজবুত করার বদলে রং করা হয়।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই দুর্ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে যায় সে রাজ্যের রাজনীতিতে। সেতু বিপর্যয়ের সময় গুজরাত সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ঘটনায় তিনি গভীর শোকপ্রকাশ করেন। ঘটনার প্রায় দেড় দিন পর মোরবীতে দুর্ঘটনাস্থলে যান মোদী।