ছবি: সংগৃহীত।
শিশুটি হামা দিতে শিখেছে সদ্য। এখনও বয়স এক বছর পেরোয়নি। অথচ এরই মধ্যে উল্কিতে ঢেকেছে তার ছোট্ট তুলতুলে শরীর। শিশুসুলভ আদুরে ভাব কাটিয়ে প্রকট হয়েছে কালো কালির সার সার রেখা। সেই ছবি দেখে আঁতকে উঠছেন সবাই।
একমাত্র সন্তানের ছবিটি নেটমাধ্যমে দিয়েছিলেন তাঁর মা। অগ্রপশ্চাৎ বিচার না করেই শিশুটির মায়ের কাণ্ডজ্ঞানহীনতার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে সর্বত্র। ছেলেকে এই বয়সেই ‘গ্যাংস্টার’ বা ‘পাকা চোর’-এর মতো দেখাতে চাইছেন বলে কেউ কেউ আবার তাঁকে ‘কু-মাতা’ বলে আখ্যা দিতেও ছাড়েননি। যদিও যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড, তিনি প্রকাশ্যেই ঘোষণা করেছেন, যে যা বলে বলুক, তিনি যা করেছেন বেশ করেছেন!
মায়ের নাম শামেকা মরিস। তিনি পেশায় এক জন ফ্যাশন ডিজাইনার। বাড়ি ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম সৈকতের লাগোয়া এলাকায়। শামেকার নিজের শরীরেরও রয়েছে উল্কি। তবে সেই আঁকিবুকি আসল উল্কির। তাঁর সন্তানেরটি নয়। সেগুলি নকল বলে জানিয়েছেন শামেকা। স্রেফ রং-তুলি দিয়ে এঁকে দেওয়া হয়েছে। তাতে শিশুটির ত্বকে ক্ষতি হওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই।
নিন্দকদের পরোয়া করেন না শামেকা মরিস। ছবি: সংগৃহীত
শামেকা সমালোচকদের উদ্দেশে বলেছেন, কেউ যদি ওই নকল ট্যাটুর জন্য তাঁর মাতৃত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তবে তা করতে পারেন। কিন্তু তাতে তাঁকে দমানো যাবে না। তিনি তাঁর সন্তানের শরীরে এ ভাবেই নকল নকশা আঁকবেন, তাঁর ইচ্ছে হলেই।
পরে একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শামেকা জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে সময়ের আগে হওয়ায় দীর্ঘ দিন তাঁকে ছাড়া হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। এক মাত্র সন্তানের জন্মের প্রথম কয়েক মাস মাতৃত্ব উদযাপন করতে পারেননি তিনি। ছেলের শরীরে রং-তুলি বুলিয়ে নিজের সুস্থ হওয়ার এক একটি ধাপ উদযাপন করেন তিনি। প্রায়শই ওই আঁকিবুকি বদলে দেন এবং নেটমাধ্যমে ছবি পোস্ট করেন তিনি।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।