গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বাদল অধিবেশনে ক্রমশ বিড়ম্বনা বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকারের। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই নতুন সংসদ ভবন বর্ষার জলে ‘বানভাসি’ হওয়ার প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা তথা রাজ্যসভা সাংসদ জয়রাম রমেশ পোস্ট করলেন সংসদ ভবনের অন্দরে বানরের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিয়ো।
সংসদ ভবনের অন্দরে সাংসদদের জন্য নির্দিষ্ট লবিতে ঘুরে বেড়ানো বানরটির ভিডিয়ো পোস্ট করে রমেশ এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন— ‘‘মাঙ্কি বাত। মোদীম্যারিয়টে আজ বানরের কথা। যা নতুন সংসদ ভবন নামে পরিচিত।’’ রাজনীতির কারবারিদের একাংশের মতে এ ক্ষেত্রে রমেশ সরাসরি খোঁচা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত কর্মসূচি’কে। সেই সঙ্গে গত বছরের মে মাসে মোদীর উদ্বোধন করা সংসদ ভবনকেও ‘মোদীম্যারিয়ট’ বলে চিহ্নিত করেছেন তিনি।
শুধু তা-ই নয়, মাঝবর্ষায় নয়া সংসদ ভবনের জলমগ্ন হওয়ার প্রসঙ্গ তুলেও খোঁচা দিয়েছেন রমেশ। লিখেছেন, ‘‘বানরটি জলমগ্ন দিল্লি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সংসদ ভবনে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু, সেখানে গিয়েও জল পড়তে দেখেছে।’’ শুধু সংসদ ভবনই নয়, দিল্লিতে পুরভবন থেকে শুরু করে নর্থ ব্লক, সাউথ ব্লক, এমনকি রাষ্ট্রপতি ভবনেও গত দু’দশক ধরে বানরের উপদ্রবের শিকার। দিল্লির ডেপুটি মেয়র পদে থাকাকালীন বিজেপি নেতা সুরেন্দ্র সিংহ বাজওয়া বানরের আক্রমণে ছাদ থেকে পড়ে মারা গিয়েছিলেন।
সংসদ ভবন চত্বরে বানরের উপদ্রবের মোকাবিলায় কয়েক বছর আগে লোকসভা সচিবালয় সাংসদ এবং সংসদের কর্মীদের উদ্দেশে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। তাতে বলা হয়েছিল— ‘‘বানর দেখে দাঁড়িয়ে পড়বেন না। ওরা বিরক্ত না করলে ওদের একাই ছেড়ে দিন।’’ বানরের গায়ে হাত না দিয়ে কী ভাবে তাকে তাড়ানো যায়, সে উপায়ও বলে দেওয়া হয়েছিল ওই বিজ্ঞপ্তিতে— ‘‘কখনও বাঁদরের গায়ে হাত তুলবেন না। বড় লাঠি দিয়ে আপনার বাড়ির মেঝেতে মারলেই আপনা-আপনি বানরটি চলে যাবে।’’