(বাঁ দিকে) মোহন ভাগবত এবং যোগী আদিত্যনাথ (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র
সব কিছু পরিকল্পনামাফিক এগোলে শনিবার বিকেলে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর প্রধান মোহন ভাগবত। উত্তরপ্রদেশে আদিত্যনাথের গড় বলে পরিচিত গোরক্ষপুরেই হতে পারে এই বৈঠক। দুই তরফেই এই বৈঠক সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী সঙ্ঘপ্রধান বিকেল ৪টে ১৫ মিনিটে গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরে যাবেন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির ‘আশানুরূপ’ ফল না হওয়ায় বিজেপি নেতৃত্বের নাম না করেই তাঁদের নিশানা করেছেন ভাগবত-সহ অন্য আরএসএস নেতারা। এই আবহে যোগী-ভাগবত বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি সঙ্ঘের সদর দফতর নাগপুরে দাঁড়িয়ে ভাগবত কেন্দ্রের নতুন সরকারের উদ্দেশে জানিয়েছিলেন, বিরোধীদের গুরুত্ব দিতে হবে। প্রতিপক্ষ নয়, প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখতে হবে তাঁদের। ভোটের সময় ‘মর্যাদা পালন করা হয়নি’ বলেও ক্ষোভ জানান ভাগবত। যাকে কার্যত মোদীর প্রতি বার্তা হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক শিবির। বৃহস্পতিবার আরএসএসের অন্যতম শীর্ষনেতা ইন্দ্রেশ কুমার রাজস্থানের জয়পুরের অদূরে কানোটায় একটি সভায় লোকসভা ভোটে খারাপ ফলের জন্য বিজেপি নেতাদের ঔদ্ধত্যকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, ‘‘যাঁরা রামের ভক্ত ছিলেন, তাঁরা ক্রমশ উদ্ধত হয়ে উঠছিলেন। নিজেদের সবচেয়ে বড় দল বলছিলেন। তাই ভগবান রামই তাঁদের ২৪১-এ থামিয়ে দিয়েছেন।’’ প্রসঙ্গত, বিজেপি এ বার লোকসভা নির্বাচনে ২৪১টি আসন পেয়েছে।
লোকসভা আসনের নিরিখে দেশের বৃহত্তম রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট এনডিএ পেয়েছে ৩৬টি আসন। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ পেয়েছে ৪৩টি আসন। এমনকি অযোধ্যার রামমন্দির যে লোকসভা কেন্দ্রে, সেই ফৈজাবাদেও এসপি প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। বিজেপির অন্দরেই গুঞ্জন যে, আদিত্যনাথের লোকজন এ বারে ভোটে ততটা সক্রিয় ছিলেন না। যার প্রভাব পড়েছে ভোটের ফলাফলে। এই পরিস্থিতিতে আদিত্যনাথ-ভাগবত বৈঠকের দিকে নজর রয়েছে সকলের।