(বাঁ দিকে) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র ।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পা ছুঁয়ে বিহারকে লজ্জা দিয়েছেন নীতীশ কুমার! শুক্রবার ভাগলপুরের একটি জনসভায় বক্তৃতা করার সময় তেমনটাই মন্তব্য করলেন প্রশান্ত কিশোর (পিকে)। পিকের দাবি, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যই মোদীর পায়ে পড়তে হয়েছে নীতীশকে।
তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথের আগে এনডিএ শরিকদের নিয়ে সংসদীয় দলের বৈঠক করেন মোদী। সেখানেই তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে দেখা যায় নীতীশকে। সেই প্রসঙ্গেই এ বার বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন পিকে। ভোটকুশলীর কথায়, ‘‘যে কোনও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান জনগণের গর্ব। কিন্তু নীতীশ কুমার যখন মোদীর পা ছুঁয়েছিলেন, তখন তিনি পুরো বিহারকে লজ্জা দিয়েছিলেন।’’
শুক্রবার ভাগলপুরের সভা থেকে পিকে আরও বলেন, ‘‘মোদীর ক্ষমতায় ফিরে আসার ক্ষেত্রে নীতীশের ভূমিকা নিয়ে অনেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কী ভাবে তাঁর অবস্থানকে কাজে লাগাচ্ছেন জানেন? এখন নীতীশ চাইলে রাজ্যের জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তিনি তা করছেন না। ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও যেন তিনিই ক্ষমতায় থাকেন, তা নিশ্চিত করতে মোদীর পা ধরছেন।’’
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে নীতীশের দল জেডিইউয়ের জন্য নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করেছিলেন পিকে। তবে বর্তমানে জেডিইউয়ের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে পিকের। দূরত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে নীতীশের সঙ্গেও। সেই প্রসঙ্গে ভোটকুশলী বলেন, ‘‘মানুষ আমাকে জিজ্ঞাসা করে, অতীতে একসঙ্গে কাজ করার পরেও কেন আমি নীতীশ কুমারের সমালোচনা করছি। কিন্তু তিনি তখন আলাদা মানুষ ছিলেন। তখনও তাঁর বিবেক বিক্রি হয়ে যায়নি।’’
প্রসঙ্গত, সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা নির্বাচনে বিহারের ৪০টি আসনের মধ্যে ১২টি আসন জেডিইউয়ের দখলে। লোকসভায় বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় জেডিইউ এখন এনডিএ-র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শরিক দল।