ছবি: পিটিআই।
বারাণসী বসেও চোখ সেই বাংলাতেই।
দেব দীপাবলি মহোৎসব, সারনাথে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড শো, তার সঙ্গে বেশ কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন— নিজের লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীতে দিনভর কর্মসূচির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢুকে পড়লেন বাংলার বিধানসভা ভোটের রাজনীতিতে। ‘পিএম-কিসান’ প্রকল্প চালু না-করার জন্য নাম না-করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করলেন। সেই সঙ্গে ফের ঘোষণা করলেন, রাজ্যে ক্ষমতায় এলেই ‘পিএম-কিসান’ প্রকল্প চালু হবে। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘‘একটি রাজ্য পিএম-কিসান চালুই করেনি। কারণ, কৃষকরা হাতে টাকা পেয়ে গেলে মোদীর জয়জয়কার হবে।’’
লোকসভা ভোটের আগে চাষিদের জন্য তিন কিস্তিতে বছরে ৬ হাজার দেওয়ার প্রকল্প চালু করেছিল মোদী সরকার। একমাত্র পশ্চিমবঙ্গ এখনও এই প্রকল্পে যোগ দেয়নি। সেপ্টেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে চিঠি দিয়ে বলেছিলেন, চাষিদের জন্য বরাদ্দ অর্থ কেন্দ্র রাজ্যের হাতে তুলে দিক। রাজ্য তা চাষিদের হাতে পৌঁছে দেবে। কেন্দ্র সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। এর পর অমিত শাহ রাজ্যে গিয়ে মমতার সরকারকে দোষারোপ করেন। আজ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আগামী দিনে যখনই ওই রাজ্যে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসবে, তখনই কৃষকদের হাতে পিএম-কিসানের টাকা পৌঁছে যাবে।’’ রাজ্য সরকারের যুক্তি ছিল, রাজ্যের নিজস্ব ‘কৃষক বন্ধু’ প্রকল্প থেকেই চাষিদের ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, সারা দেশের চাষিরা ‘পিএম-কিসান’ প্রকল্পে ইতিমধ্যেই ১২ হাজার টাকা পেয়ে গিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের ৭০ লক্ষ চাষি প্রায় ৮,৪০০ কোটি টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। রাজনৈতিক কারণেই তৃণমূল সরকার এই প্রকল্প আটকে রেখেছে।
প্রধানমন্ত্রীর এ দিনের আক্রমণের জবাবে তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘যিনি এই মন্তব্য করছেন, তিনি বলেছিলেন, ২০২২-এ চাষিদের আয় দ্বিগুণ করে দেবেন। বর্তমানে যে হার চলছে, তাতে ২০২৮-এও দ্বিগুণ হবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাষিদের সঙ্গে ছিলেন। কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে বসে না-থেকে মমতা সরকারের পদক্ষেপে, চাষিদের আয় ২০১১-র তুলনায় প্রায় তিন গুণ হয়ে গিয়েছে।’’