রাহুল-মোদী পিঠোপিঠি, নয়া টক্কর কেরলে

মালাবার উপকূলে এ বার বিজেপি এবং কংগ্রেস শিবিরের নির্বাচনী ভাগ্য ছিল পরস্পরের একেবারে বিপরীত। গোটা দেশে মোদী-ঝড় উঠলেও পশ্চিমঘাটের ও’পারে তার প্রভাব পড়েনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯ ০৩:৫২
Share:

এক জন দিল্লি ফেরার উড়ান ধরবেন। অন্য জনের বিশেষ বিমান সে দিনই কেরলের মাটি ছোঁবে। লোকসভা নিবার্চন-উত্তর পর্বে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রথম পিঠোপিঠি কর্মসূচি হতে চলেছে দক্ষিণী ওই রাজ্যেই।

Advertisement

মালাবার উপকূলে এ বার বিজেপি এবং কংগ্রেস শিবিরের নির্বাচনী ভাগ্য ছিল পরস্পরের একেবারে বিপরীত। গোটা দেশে মোদী-ঝড় উঠলেও পশ্চিমঘাটের ও’পারে তার প্রভাব পড়েনি। ভোটের আগে মোদী ও অমিত শাহের বিস্তর চেষ্টা সত্ত্বেও কেরলে এ বারও খাতা খুলতে পারেনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের একটি মাত্র আসনে তারা দ্বিতীয় স্থানে আসতে পেরেছে। অন্য দিকে, সারা দেশে মুখ থুবড়ে পড়লেও কংগ্রেসকে হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছে কেরল। রাজ্যের ২০টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৯টিই এ বার তাদের দখলে! এমনকি, অমেঠিতে পরাজিত কংগ্রেস সভাপতির এ বার আর লোকসভায় যাওয়াই হত না কেরলের ওয়েনাড না থাকলে! দু’পক্ষের জন্য এই দু’রকম পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি সফরে কেরল সফরে যাচ্ছেন মোদী ও রাহুল।

কংগ্রেস সূত্রের খবর, চার লক্ষের বেশি ভোটে জয়ের পরে ওয়েনাডকে ধন্যবাদ জানাতে আগামী ৭ জুন সেখানে যাবেন রাহুল। ভোটের ফলপ্রকাশের পরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বা সংসদীয় দলের বৈঠকের বাইরে এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্য কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে তাঁকে দেখা যায়নি। ওয়েনাড দিয়েই তাঁর ভোট-পরবর্তী কর্মসূচি শুরু হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য। কোঝিকোড় বিমানবন্দরে নেমে মলপ্পুরম, কোঝিকোড় ও ওয়েনাড জেলায় ছড়িয়ে থাকা তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা এলাকাতেই যাওয়ার কথা রাহুলের। ওই দিন রাহুলের শেষ কর্মসূচি আছে ওয়েনাডের জেলা সদর কালপেট্টায়। সেখানেই রাতে থাকার কথা তাঁর।

Advertisement

পর দিন, ৮ জুন সকালে দিল্লি ফেরার উড়ান ধরার কথা কংগ্রেস সভাপতির। আর ওই দিনই কেরলে যাচ্ছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল। এখনও পর্যন্ত ঠিক আছে, ত্রিশূরের গুরুভায়ুর মন্দিরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। গুরুভায়ুরের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরের উন্নয়নকল্পে এবং রেল মানচিত্রে গুরুভায়ুরকে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কিছু ঘোষণা করতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রের খবর। রেলমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে থাকছেন বলেই রেল-জল্পনা আরও জোরদার হয়েছে। গুরুভায়ুরের শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে গো-শালার (যেখানে দু’হাজার গরু ও ষাঁড়ের বাস) আধুনিকীকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাতে চান মন্দির কর্তৃপক্ষ।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি পি শ্রীধরন পিল্লাইয়ের বক্তব্য, ‘‘দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরে মোদী কেরলের মানুষের সামনে সমাবেশ করুন, এমনই চাইছেন দলের কর্মী-সমর্থকেরা। দলের এই ইচ্ছার কথা প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে আমরা জানিয়েছি।’’

কেরলে যাওয়ার আগেই রাহুল অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে চিঠি দিয়েছিলেন ওয়েনাডে আত্মঘাতী কৃষক দীনেশ কুমারের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের আর্জি জানিয়ে। সাহায্য তাঁরা অবশ্যই দেবেন জানিয়ে রাহুলকে জবাবি চিঠিতে বিজয়ন প্রস্তাব দিয়েছেন, কৃষকের ঋণ-সমস্যার সুরাহার দাবিতে সংসদে একসঙ্গে সরব হোক কংগ্রেস ও বাম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement