শীতকালীন অধিবেশনে সংসদে পেশ হতে পারে ক্রিপ্টো বিল। ফাইল ছবি।
আগামী ২৯ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনে তিনটি অধ্যাদেশ-সহ মোট ২৬টি বিল আনতে চলেছে মোদী সরকার। তার মধ্যে কৃষি আইন প্রত্যাহারের পাশাপাশি রয়েছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং অন্যতম প্রাসঙ্গিক ক্রিপ্টোকারেন্সি বিল।
ব্লকচেনের অন্তর্গত ডিজিটাল মুদ্রা ক্রিপ্টোকারেন্সি। সাম্প্রতিক কালে হইহই করে ভারতের বাজারে ঢুকে পড়েছে এই ডিজিটাল মুদ্রা। কোনও রকম সরকারি বিধিনিষেধ না থাকায় বিজ্ঞাপনে আকাশছোঁয়া মুনাফার ঘনঘটা। তার ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হতে পারেন বহু মানুষ। বিগত কিছুদিন ধরেই এই প্রসঙ্গে সরকারি অভিমুখ কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল। আইন করে যে বিশ্বব্যাপী ভার্চুয়াল মুদ্রার লেনদেন ঠেকানো যাবে না, তা বুঝতে পারে সরকার। তাই সামগ্রিক নিষেধাজ্ঞার পথে না হেঁটে, ডিজিটাল মুদ্রাকে সরকারি নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনার রূপরেখা তৈরি করেছে অর্থ মন্ত্রক। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার সঙ্গে নিজে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংসদীয় প্যানেলও এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা সেরে ফেলেছে। সূত্রের খবর, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশন এই সংক্রান্ত ‘দ্য ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অব অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল, ২০২১’, পাশ করাচ্ছে মোদী সরকার।
বিলের প্রতিপাদ্য, ভারতে শর্তসাপেক্ষে বেসরকারি সমস্ত ক্রিপ্টোকারেন্সির কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা। কিন্তু ব্লকচেন পদ্ধতি অনুসরণ করে যাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ভবিষ্যতে নিজস্ব ক্রিপ্টোকারেন্সি আনতে পারে, তার চেষ্টাও করা হবে।