ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ কৃষক আন্দোলনের জেরে মোদী সরকার প্রত্যাহার করেছিল তিন কৃষি আইন। তাই মনে করা হচ্ছিল, এ বারের বাজেট কৃষকদের জন্য একগুচ্ছ প্রস্তাব রাখবে কেন্দ্র। কিন্তু সরকারের বাজেট ঘোষণায় খুশি নয় যোগেন্দ্র যাদবের সংগঠন ‘জয় কিসান আন্দোলন’। তাদের অভিযোগ, কৃষক আন্দোলনের কাছে হেরে গিয়ে মোদী সরকার কৃষকদের উপর ‘প্রতিশোধ’ নিচ্ছে।
সংগঠনের অভিযোগ, ছ'বছর আগে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল মোদী সরকার, কিন্তু বাজেটে এ নিয়ে একটি কথাও বলা হয়নি। সংগঠনটি জানিয়েছে, কৃষকদের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার তহবিল তৈরি করা হয়েছিল। তার মধ্যে এখনও পর্যন্ত মাত্র দু’হাজার চারশ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। বাজেটে এই তহবিল সম্পর্কেও কিছুই বলা হয়নি।
তাদের অভিযোগ, মুদ্রাস্ফীতির কারণে কিসান সম্মান নিধির টাকা ১৫ শতাংশ কমেছে, তা বাড়ানো নিয়ে বাজেটে কিছু বলা হয়নি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ৫টি নদী সংযুক্ত করার প্রকল্পের কথা বলেছেন। এক মধ্যে কেন-বেতওয়া নদীও রয়েছে। এই প্রকল্পটি অনেক পুরানো বলে দাবি করেছে সংগঠনটি, যে প্রকল্পটি পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায় আটকে রয়েছে। কৃষি ও আনুষঙ্গিক খাতে বরাদ্দ গত বছরের ৪.২৬ শতাংশ মোট বাজেট থেকে কমিয়ে এ বছর ৩.৮ শতাংশ করা হয়েছে বলে সংংগঠন অভিযোগ তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বিমা যোজনার বাজেট গত বছরের ১৬ হাজার কোটি টাকা থেকে কমিয়ে এই বছর ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
সংস্থাটির অভিযোগ, মনরেগা (মহাত্মা গাঁধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট)-য় গত বছর ৯৭,০৩৪ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল কিন্তু এই বছরের বাজেটে মাত্র ৭২,০৩৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য পাওয়ার ক্ষেত্রে অরুণ জেটলির তৈরি আশা স্কিমে গত বছর ৪০০ কোটি টাকা সঞ্চয়ের সংস্থান রাখা হয়েছিল, কিন্তু এ বার তা কমে হয়েছে মাত্র ১ কোটি টাকা। কৃষিক্ষেত্রে পরিকাঠামো খাতে ব্যয় ৯০০ কোটি টাকা থেকে এ বছর ৫০০ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়েছে। খড় পোড়ানো বন্ধ করার জন্য কৃষকদের সহায়তা করতে গত বছর ৭০০ কোটির বাজেট ছিল। ‘জয় কিসান আন্দোলন’-এর অভিযোগ, এ বার তা শূন্যে নামিয়ে আনা হয়েছে।