গত এক সপ্তাহে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা। গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।
কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও গণপিটুনি অব্যাহত উত্তরপ্রদেশে। আজ প্রকাশ্যে এল নতুন তিনটি ঘটনা। যেখানে ছেলেধরা সন্দেহে পেটানো হল মোট ৬ জনকে।
গত কাল ব্যক্তিগত প্রয়োজনে মুজফ্ফরনগর জেলার আনন্দপুরী এলাকায় গিয়েছিলেন দিল্লির এক বাসিন্দা। ছেলেধরা সন্দেহে তাঁকে পেটান স্থানীয়রা। পুলিশি তদন্তে দেখা যায়, তিনি নির্দোষ। বালিয়াতে কোতোয়ালি থানা এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে শারীরিক নিগ্রহ করা হয় এক মহিলা ভিক্ষাজীবীকে। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। বান্দার আটারাতে একই সন্দেহের বশে মার খান চার জন শ্রমিক। লোহিয়া ক্যানালের সেতুর উপরে ওই শ্রমিকেরা বিশ্রাম নেওয়ার সময়ে হঠাৎ লোকজন জড়ো হয়ে তাঁদের মারতে শুরু করে। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হলে ঘণ্টা তিনেক জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত এক সপ্তাহে যোগী আদিত্যনাথের রাজ্যে চোখে পড়ার মতো বেড়েছে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনা। রেহাই পাচ্ছে না সাদা পোশাকের পুলিশ বা স্বাস্থ্যকর্মীদের দলও। পণের একটি মামলার তদন্ত করতে গত বৃহস্পতিবার বরেলী গিয়েছিল দিল্লি পুলিশের একটি দল। ছেলেধরা সন্দেহে ওই পুলিশকর্মীদের ঘিরে ধরে জনতা। স্থানীয় পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে। ছেলেধরা সন্দেহে মারধরের চারটি ঘটনা ঘটেছে শুধু রায়বরেলী জেলাতেই। বেসরকারি সংস্থার এক ইঞ্জিনিয়ারের উপরে চড়াও হয় প্রায় ৫০ জনের ভিড়। সেই ঘটনায় কয়েক জন গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নয়ডায় গুজব ছড়িয়ে গ্রেফতার হয়েছেন এক যুবক।