মারধরের ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। ছবি টুইটার।
আগে থেকে সময় (অ্যাপোয়েনমেন্ট) না নেওয়ায় চিকিৎসা না করিয়েই মুখ্যমন্ত্রী-কন্যাকে ফেরান ডাক্তার। ক্লিনিকে এলে আগাম সময় নিতে হবে, চিকিৎসকের এই পরামর্শে মেজাজ হারিয়ে তাঁর উপর চড়াও হলেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে।
ঠিক কী ঘটেছে?
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, গত বুধবার রাজধানী আইজলে এক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের ক্লিনিকে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর তনয়া মিলারি ছাংতে। ডাক্তার দেখানোর জন্য আগে থেকে তিনি সময় নেননি। ফলে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করাতে অস্বীকার করেন ওই চিকিৎসক। মুখ্যমন্ত্রী-কন্যাকে আগে থেকে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে ক্লিনিকে আসার কথা বলেন তিনি। এর পরই মেজাজ হারিয়ে রীতিমতো ছুটে এসে ওই চিকিৎসকের উপর চড়াও হন মুখ্যমন্ত্রীর মেয়ে। তার পর তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে নেটমাধ্যমে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
চিকিৎসককে নিগ্রহের ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় মিজোরামে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (আইএমএ) শাখা। শনিবার কালো ব্যাজ পরে কাজ করতে দেখা যায় চিকিৎসকদের। এর পরই ইনস্টাগ্রামে নিজের হাতে লেখা বিবৃতি প্রকাশ করে ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী।