প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এক নাবালকের ১৭ টুকরো দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল উত্তরপ্রদেশের বহরাইচে। ঘটনায় ওই নাবালকের দুই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রথমে ওই নাবালককে খুন করা হয়। পরে প্রমাণ লোপাট করতে ষড়যন্ত্র করে দেহ টুকরো টুকরো করে জমিতে পুঁতে দিয়েছিলেন অভিযুক্তেরা।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বছর পনেরোর বিক্রম বহরাইচের গায়ত্রী নগরের বাসিন্দা। গত ৬ ডিসেম্বর সঞ্জয় বর্মা নামে এক যুবকের সঙ্গে কাজে বেরিয়ে আর ফেরেননি। খামারে কাজ করত বিক্রম। বাড়ি না ফেরায় থানায় বিক্রমের নিখোঁজ ডায়েরি করেন তার পরিবারের লোকেরা। তদন্তে নেমে পুলিশ সঞ্জয় এবং তাঁর এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খামারে কাজ করার সময় হারভেস্টারে আটকে যায় বিক্রম। কিন্তু তাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করার পরিবর্তে সঞ্জয় এবং তাঁর সঙ্গী লভকুশ, বিক্রমের শরীরের উপর দিয়ে হারভেস্টার চালিয়ে দেন। পরে প্রমাণ লোপাট করতে ষড়যন্ত্র করে বিক্রমের দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করে কাটেন তাঁরা। তার পর সেই দেহের টুকরোগুলো ক্ষেতের বিভিন্ন জায়গায় পুঁতে দেন। বিক্রমের জামাকাপড় এবং জুতো পুকুরে ফেলে দেন অভিযুক্তেরা।
তদন্তে নেমে পুলিশ রবিবার ওই পুকুর থেকে বিক্রমের জামা এবং জুতো উদ্ধার করে। তার পরই সন্দেহ হয় সঞ্জয়ের উপর। তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ধরা হয় তাঁর সঙ্গী লবকুশকেও। জেরার মুখে অপরাধের কথা স্বীকার করে দু’জনেই। তাঁদের থেকে খোঁজ পাওয়ার পর ক্ষেত খুঁড়ে বিক্রমের দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে বলেও পুলিশ সূত্রে খবর। বহরাইচের পুলিশ সুপার বৃন্দা শুক্লা জানান, দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে।