— প্রতীকী চিত্র।
যুবক নিখোঁজ ছিলেন বেশ কয়েক দিন। এর পরেই মুণ্ডহীন একটি দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। পরিবারে ভেবে নেয়, ওই দেহ তাঁদের ছেলের। শেষকৃত্যের ব্যবস্থা শুরু করে। তার আগেই জানা যায়, ওই তরুণ জীবিত। চণ্ডীগড়ে রয়েছেন।
৯ সেপ্টেম্বর মিরাটের দৌরালা এলাকায় একটি মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। দেহের হাতও কাটা হয়েছিল। দেহ মেলার কথা গোটা অঞ্চলের সব থানায় জানায় দৌরালার পুলিশ। খবর যায় মনসুরপুর শহরে। ‘নিখোঁজ’ যুবকের বাড়ি সেখানেই। যুবকের নাম মন্টি কুমার। বয়স ২০ বছর। মিরাটের মর্গে দেহ শনাক্ত করতে যান পরিবারের সদস্যেরা। মন্টির ঘাড় এবং হাতে ট্যাটু ছিল। দেহের যে হেতু মাথা এবং হাত ছিল না, সে কারণে পরিবারের সদস্যদের ধারণা হয়, সেটি মন্টির। তাঁর পরিচয় গোপন করতেই অভিযুক্তেরা মাথা এবং হাত কেটে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মন্টির পরিবার ওই দেহ দাবি করে। তাঁর সৎকারের ব্যবস্থাও শুরু করেন। যদিও তত ক্ষণে চণ্ডীগড়ে মন্টির সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। মনসুরপুরের পুলিশ আধিকারিক আশিস চৌধরি জানান, মন্টির ফোনে আড়ি পেতে গত বুধবার পুলিশ জানতে পারে, চণ্ডীগড়ে রয়েছেন তিনি। সঙ্গে রয়েছেন সেই তরুণী, যিনি বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন। মৃতদেহ ফের মর্গে ফিরিয়ে আনে পুলিশ। তদন্তে তারা জানতে পারে, ১৮ বছরের প্রতিবেশী এক তরুণীর সঙ্গে গত ২৮ অগস্ট পালিয়েছিলেন মন্টি। ওই তরুণীর পরিবার মন্টির বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণের অভিযোগও করেছিলেন। মেয়েটির বাবার দাবি, বাড়ি ছেড়ে পালানোর সময় সঙ্গে বেশ কিছু গয়না এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন তাঁর মেয়ে। অবশেষে তাঁদের খোঁজ পেয়েছে পুলিশ।