প্রতীকী ছবি।
সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি শিবিরে হামলার জেরে মৃত্যু হয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়া বেঙ্গালুরুর যুবক ফায়েজ মাসুদের। সম্প্রতি আইএস-যোগের অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। তার কাছ থেকেই ফায়েজ মাসুদের এই পরিণতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন গোয়েন্দারা। সংবাদপত্র ‘ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস’-এর একটি রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। বছর সাতেক আগে আইএস জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিতে সিরিয়া পাড়ি দিয়েছিল ফায়েজ।
পূর্ব বেঙ্গালুরুর এক বিত্তশালী পরিবারের সন্তান ফায়েজ। বিজনেস ম্যানেজমেন্ট নিয়ে পড়াশোনা করেছিল সে। কিন্তু বছর সাতেক আগে ফায়েজ আচমকাই নিখোঁজ হয়ে যায়। শুরুর দিকে অবশ্য তার সম্পর্কে কোনও তথ্যই ছিল না পুলিশ বা নিরাপত্তা সংস্থাগুলির হাতে। কিন্তু ২০১৪-১৫ সাল নাগাদ ফায়েজ সম্পর্কে কিছু তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে আসে। তাঁরা জানতে পারেন, সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের শিবিরে এক ভারতীয় নিহত হয়েছে। তার পরই ভারত থেকে নিযুক্ত হওয়া আইএস জঙ্গিদের পরিচয় নিয়ে শুরু হয় তদন্ত। ফায়েজের মৃত্যুর খবর যে ঠিক ছিল সে সম্পর্কে সাত বছর পর নিশ্চিত হলেন গোয়েন্দারা।
দিন কয়েক আগেই ইসলামিক স্টেট খোরাসান প্রদেশের সঙ্গে যোগসূত্র থাকার অভিযোগে এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে এনআইএ। তদন্তকারীদের দাবি আবদুর রহমান নামে ওই চিকিৎসক ফায়েজ সম্পর্কে বহু তথ্য দিয়েছেন। সূত্রের মতে, ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে কাতার গিয়েছিল ফায়েজ মাসুদ। তার পর থেকে সে যেন হাওয়ায় মিশে গিয়েছিল। আরও জানা গিয়েছে, কাতার থেকে সিরিয়া গিয়েছিল ফায়েজ। ২০১৩-১৪ সাল নাগাদ আইএসে যোগ দিতে সিরিয়া গিয়েছিল আবদুরও। তার বয়ান অনুযায়ী, ইরাক এবং সিরিয়া জুড়ে এক সময় তাণ্ডব চালানো আইএসের ‘রিক্রুটার’ হিসাবে কাজ করত ফায়েজ। বেঙ্গালুরুর যুবকদের ওই জঙ্গি সংগঠনে ঢোকানোর অন্যতম কারিগর ছিল সে। আবদুর আরও জানিয়েছে, সিরিয়ায় আইএসের শিবিরে হামলার সময় ফায়েজের মৃত্যু হয়েছে। ফায়েজ যে মারা গিয়ে থাকতে পারে সে সন্দেহ আগেই হয়েছিল গোয়েন্দাদের। এ বার ধৃত আবদুর রহমানও সেই একই তথ্য দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমি এখানে নিরাপদ নই’, রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়ে বিস্ফোরক কঙ্গনা