Gangrape Case

ধর্ষিতাকে ধর্ষকের সঙ্গে বিয়ের জন্য চাপ, গায়ে আগুন দিয়ে নিজেকে শেষ করলেন নির্যাতিতা

অভিযুক্ত দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনে মামলা করা হয়েছে। দ্রুতই তাঁদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২২ ১৩:১৪
Share:

গণধর্ষিতাকে বিয়ের জন্য চাপ, গায়ে আগুন দিয়ে নিজেকে শেষ করলেন নাবালিকা। — প্রতীকী ছবি।

গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ১৬ বছরের নাবালিকা। জামিনে মুক্তি পেয়ে সেই ধর্ষণে অভিযুক্তরাই তাকে চাপ দেন এক অভিযুক্তকে বিয়ে করার জন্য। শেষ পর্যন্ত গায়ে আগুন দিয়ে নিজেকে শেষ করলেন কিশোরী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদের ফতেহগড় থানা এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ২০২১-এর ৮ জানুয়ারি নাবালিকাকে গণধর্ষণ করেন দুই ব্যক্তি। পুলিশ তাঁদের ধরেও ফেলে। এ বছর অগস্টে জামিনে দু’জনই জেল থেকে মুক্তি পান। তার পর থেকেই নাবালিকার উপর চাপ দেওয়া শুরু হয়। নাবালিকার বাবার দাবি, অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য তাঁর মেয়েকে চাপ দিচ্ছিলেন জামিনে মুক্ত দুই অভিযুক্ত। পুলিশে করা অভিযোগ না তুলে নিলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলেও হুমকি দেওয়া হত মেয়েকে বলে বাবার অভিযোগ। এই সময়ই আপোসে মিটমাট করে নেওয়ার প্রস্তাব আসে। এক ধর্ষককে বিয়ের করার জন্য নাবালিকার উপর নতুন চাপ দেওয়া শুরু হয়।

নাবালিকার বাবা বলেন, ‘‘ওই দু’জন আমার মেয়েটার জীবন শেষ করে দিল। মেয়ের মোবাইলে ওঁরা মেসেজ পাঠাত। হুমকি দিয়ে বলত, কথা না শুনলে শুধু তাঁকেই না গোটা পরিবারকে শেষ করে দেওয়া হবে। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরে মেয়ে গায়ে আগুন দেয়। আমি তখন মাঠে কাজ করছিলাম। চিৎকার শুনে দৌড়ে ঘরে এসে দেখি এই কাণ্ড।’’ পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও অভিযোগ তুলেছেন নাবালিকার বাবা।

Advertisement

গুরুতর আহত অবস্থায় নাবালিকাকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার পর ভাল চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, নাবালিকার দেহের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।

নাবালিকার মৃত্যুর পর পুলিশ নড়েচড়ে বসে। অভিযুক্ত দু’জনের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর এনএসএ আইনে মামলা করা হয়েছে। দ্রুতই তাঁদের গ্রেফতার করবে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement