ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে নিমন্ত্রণ রাখতে গিয়েছিল ১৫ বছরের ফইজান আলি। রাতে তার বাড়ির কাছেই পড়ে থাকতে দেখা গেল তার প্রায় আধমরা হয়ে যাওয়া শরীর। পুলিশ ওই অবস্থায় ফইজানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, ফইজনকে ভারী কিছু দিয়ে মারাত্মক ভাবে আঘাত করা হয়েছে। সেই আঘাতেই মৃত্যু হয় ১৫ বছরের ওই কিশোরের। পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৮ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে।
ফইজনের বাড়ি দিল্লির সরিতা বিহারে। মঙ্গলবার যে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সে গিয়েছিল সেটি নয়াদিল্লির মদনপুর খদর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে ওই পার্টিতেই হাজির ছিল মনু নামে ফইজনের এক পরিচিতও। পার্টিতে উপস্থিত অভ্যাগতরা জানিয়েছেন, কোনও একটি বিষয় নিয়ে দু’জনের ঝগড়া শুরু হয়। তার পরই লোহার রড দিয়ে ফইজনকে মারতে শুরু করে মনু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, আলি জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যাওয়া পর্যন্ত চলে অত্যাচার। পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের ভিত্তিতে বুধবারই মনুকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফইজন দিল্লির সরিতা বিহারের বাসিন্দা। অভিযুক্ত মনুরও বাড়ি সরিতা বিহারেরই রাজস্থান ক্যাম্পে। তবে ১৮ বছরের মনু ইতিমধ্যেই ব্যবসার কাজ শুরু করেছে। বাড়ির কাছেই তার একটি ডিমের দোকান রয়েছে বলে তদন্তে জেনেছে পুলিশ।