গত পাঁচ বছরে উন্নয়নের স্বার্থে এক কোটির বেশি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক। লোকসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে ওই তথ্য জানিয়েছেন পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। মন্ত্রীর ওই তথ্যকে অস্ত্র করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস।
২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উন্নয়নমূলক কাজে এক কোটি নয় লক্ষ ৭৫ হাজার ৮৪৪টি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র। বাবুল বলেছেন, ‘‘একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে। তবে দাবানলে কত গাছ নষ্ট হয়েছে, তার কোনও তথ্য মন্ত্রকের কাছে নেই।’’ মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে উন্নয়নমূলক প্রকল্পের জন্য সব চেয়ে বেশি গাছ কাটা হয়েছে। মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ সালে ২৩.৩ লক্ষ গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষে ১৬.৯ লক্ষ, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে ১৭.০১ লক্ষ এবং ২০১৭-১৮ অর্থবর্ষে ২৫.৫ লক্ষ গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়।
বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছেন, ‘গ্রিন ইন্ডিয়া মিশন’-এ ১২টি রাজ্যকে গত চার বছরে ২৩৭.০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, ৮৭ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে অরণ্যায়নের জন্য। ২০১৫ সালে ‘গ্রিন ইন্ডিয়া মিশন’ চালু হয়। জাতীয় অরণ্যায়ন প্রকল্পে গত চার বছরে ৩২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন বাবুল। ওই প্রকল্পে ৯৪ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে নতুন করে বনভূমি তৈরির কথা বলা হয়েছিল। যদিও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে জাতীয় অ্যাকশন প্ল্যান জানিয়েছে, ‘গ্রিন ইন্ডিয়া মিশন’ –এর কাজ এখনও অনেকটাই সীমিত।
বিষয়টি নিয়ে সরকারকে নিশানা করতে দেরি করেনি কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার টুইট, ‘‘গাছ জীবন, গাছ অক্সিজেন, গাছ কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে, গাছ পরিবেশ রক্ষা করে। নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার ১,০৯,৭৫,৮৪৪টি গাছ কেটেছে গত পাঁচ বছরে!’’