খনন হবে এই চত্বরেই। ফাইল চিত্র।
জ্ঞানবাপীর পর এ বার বিতর্কের কেন্দ্রে কুতুবমিনার। হিন্দু দেবতার বিগ্রহ উদ্ধার হওয়ার পর কিছুদিন ধরেই দাবি উঠিছিল দিল্লির ওই বৈগ্রহিক মিনার আসলে হিন্দুরাজা বিক্রমাদিত্য তৈরি করিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সস্কৃতি মন্ত্রক ভারতীয় পুরাতাত্ত্বিক সর্বেক্ষণ বিভাগকে (এএসআই) বিষয়টি সমীক্ষা করে দেখতে খননের নির্দেশ দিয়েছে।
সংস্কৃতি সচিব গোবিন্দমোহন শনিবার কুতুব মিনার এলাকার পরিদর্শনের পর এএসআইকে খননের নির্দেশ দেন। তিনি তিন জন ইতিহাসবিদ, এএসআইয়ের চার আধিকারিক এবং কয়েকজন গবেষককে নিয়ে ওই চত্বর পরিদর্শন করেন। খনন ও সমীক্ষার পর তার রিপোর্ট মন্ত্রককে জমা দিতে বলা হয়েছে। মিনারের দক্ষিণ অংশে মসজিদ থেকে ১৫ মিটার দূরে ওই খনন শুরু হতে পারে বলে খবর। এ এসআইয়ের আধিকারিকরা জানান, ১৯৯১ সালের পর ওই চত্বরে কোনও খননকাজ হয়নি।
বিতর্কের সূত্রপাত, এএসআইয়ের প্রাক্তন আঞ্চলিক নির্দেশক ধর্মবীর শর্মার একটি মন্তব্যকে ঘিরে। তিনি জানিয়েছিলেন, সূর্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্য ওই মিনার নির্মাণ করিয়েছিলেন রাজা বিক্রমাদিত্য। কুতুবুদ্দিন আইবক এটি নির্মাণ করেননি।
এর আগে, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মুখপাত্র বিনোদ বনশল দাবি করেছিলেন, কুতুব মিনারের প্রকৃত নাম বিষ্ণু স্তম্ভ। ওই মিনার তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছিল ২৭টি হিন্দু এবং জৈন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ থেকে নেওয়া নির্মাণ সামগ্রী। কুতুব মিনারের ভেতর থেকে ১২০০ বছরের পুরনো নৃসিংহ, গণেশ, কৃষ্ণের মূর্তি উদ্ধারের পর মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণু স্তম্ভ করার দাবি জানিয়ে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন গোষ্ঠী বিক্ষোভও দেখিয়েছিল।