কেন্দ্রের কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের নজরে গৌতম আদানি।
এ বার শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থার আর্থিক বিবৃতি দেখা শুরু করল কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রক। শুক্রবার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে ইকনমিক টাইমসে্র একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছরে আদানি গোষ্ঠীর যাবতীয় আর্থিক বিবৃতি এবং অন্যান্য ব্যবসায়িক লেনদেনের হিসেব পরীক্ষা করছেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের দায়িত্বপ্রাপ্তরা।
গত এক সপ্তাহে দেশের বাজারে বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ শিল্পপতি আদানির সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে বুধবার রাতে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েস ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন শেয়ার ছাড়ার (এফপিও) প্রক্রিয়া স্থগিত করার কথা ঘোষণা করায় সঙ্কট আরও গভীর হয়েছে।
ঋণভারে যে আদানি গোষ্ঠীর কাঁধ ঝুঁকে পড়েছে, এই অশনি সঙ্কেতের মধ্যে গত এক সপ্তাহে হুড়মুড় করে পড়েছে এই শিল্পপতির সংস্থার শেয়ার দর। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই এই পতন শুরু হয়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকার সংস্থার এই রিপোর্টকে মানতে চায়নি আদানি গোষ্ঠী। তাদের দাবি, ব্যবসায়িক সমস্ত নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং নিয়ম মেনেই তারা ব্যবসা করে। তবে শুক্রবার শেয়ার বাজারে আদানি এন্টারপ্রাইজ়েসের শেয়ার দর ১০ শতাংশ পড়েছে। আদানি পাওয়ার, আদানি গ্রিন এনার্জি, আদানি টোটাল গ্যাস এবং আদানি ট্রান্সমিশনের শেয়ার কেনাবেচা সাময়িক ভাবে স্থগিত করা হয়। পরে আবার তা চালু হয়েছে বটে কিন্তু পতন ঠেকানো যায়নি। এই ইস্যু ওঠে সংসদেও। বিরোধীদের প্রবল হট্টগোল হয়। বিরোধীদের দাবি, আদানি গোষ্ঠীর যাবতীয় কোম্পানির শেয়ারের বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। এই আবহে আদানি সংস্থার সমস্ত আর্থিক বিবরণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে দুই পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন রয়টার্সকে। যদিও এ নিয়ে আদানি গোষ্ঠী কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি বলে খবর।