ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সরগরম হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির বৈঠকও।
রাজ্যগুলিতে পুলিশ বাহিনীর আধুনিকীকরণের অর্থ কোথায়, কোন খাতে খরচ হয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করতে আজ বৈঠক ডেকেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। আজ ওই আলোচনায় অংশ নেয় হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালবীয়-সহ একাধিক শীর্ষস্থানীয় পুলিশকর্তা ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের আমলারা পুলিশের আধুনিকীকরণ নিয়ে আলোচনা করতে গেলে উল্টে রাজ্যে ভোটের আগে ও পরে চলতে থাকা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন একাধিক বিজেপি সাংসদ। বৈঠকে উপস্থিত দিলীপ ঘোষ নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে জানান, বিভিন্ন সময়ে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। গত কাল রাজ্যে তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়েছিল। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপবাবু রাজ্য পুলিশের কর্তাদের কাছে জানতে চান, বিরোধী দলের সাংসদ হওয়ায় কি তাঁকে সুরক্ষা দেওয়ার কোনও দায়িত্ব নেই রাজ্য পুলিশের?
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে বৈঠকে সরব হন কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরীও। বিরোধী সাংসদদের অভিযোগ, বঙ্গের শাসক দলকে সুবিধা করে দিচ্ছে পুলিশই। একাধিক সাংসদ বঙ্গ পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে জানতে চান, বিরোধী নেতাদের উপরে বার বার হামলা সত্ত্বেও পুলিশ কেন চুপ? অভিযোগ ওঠে, স্রেফ বিরোধী দল করার ‘অপরাধে’ রাজনৈতিক কর্মীদের পরিকল্পিত ভাবে মাদক মামলায় জড়ানোর প্রবণতা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সিভিক ভলান্টিয়ারদের যে ভাবে প্রায় সব ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন ‘ব্যবহার’ করে চলেছে, তার আইনি বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভিন্ রাজ্যের একাধিক বিজেপি সাংসদ। সূত্রের বক্তব্য, এ সব অভিযোগের কোনও নির্দিষ্ট জবাব ছিল না রাজ্যের পুলিশকর্তাদের কাছে। তবে বঙ্গের পরিস্থিতি জানতে চেয়ে রিপোর্ট তলব করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান আনন্দ শর্মা।