সোনালির খুনের তদন্ত করবে সিবিআই।
বিজেপি নেত্রী সোনালি ফোগতের মৃত্যুর তদন্তভার সিবিআইকে দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সোমবার মন্ত্রকের তরফে সেই নির্দেশের কথা জানানো হয়েছে। গত ২২-২৩ অগস্ট মধ্যরাতে গোয়ায় মৃত্যু হয় সোনালির। তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিক নয় জানিয়ে খুনের অভিযোগ তুলেছিল পরিবার।
গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত এই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে। এর পরেই কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ (ডিওপিটি) বিভাগকে সোনালি খুনের তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রসঙ্গত, সিবিআইয়ের কাজকর্ম নিয়ন্ত্রণ করে কর্মিবর্গ এবং প্রশিক্ষণ বিভাগ।
এখনও পর্যন্ত এই মামলায় সোনালির দুই সহকারী-সহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়া পুলিশ। দুই সহকারী সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং সুখবিন্দ্র ওয়াসির বিরুদ্ধে খুনের চার্জ আনা হয়েছে। সোমবার গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘এই মামলায় গোয়া পুলিশ খুব ভাল তদন্ত করেছে। বেশ কিছু সূত্রও খুঁজে পেয়েছে তারা। কিন্তু হরিয়ানার মানুষ এবং সোনালির মেয়ের দাবি মেনে আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। চিঠিতে আমরা মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’’
গত ২৩ অগস্ট ভোরে গোয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সোনালিকে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রথমে বলা হয়েছিল, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে হরিয়ানার বিজেপি নেত্রীর। পরে তাঁর পরিবার খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। তারা বলে, সোনালিকে আগে ধর্ষণ করেছিল সুধীর। বিষয়টি মা-কে জানিয়েছিলেন ৪৩ বছরের অভিনেত্রী সোনালি।
পরিবারের সদস্যরা এই দাবিও করেন যে, ধর্ষণের ভিডিয়ো তুলেছিলেন সহকারী সুধীর। সেই ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে প্রকাশ করে দেবেন বলে সোনালিকে ভয় দেখাতেন তিনি। পরে গোয়ার একটি রেস্তরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ হাতে আসে পুলিশের। সেখানে দেখা যায়, জোর করে সোনালিকে মাদক মেশানো জল খাওয়াচ্ছেন তাঁর দুই সহকারী। এর পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। রেস্তরাঁ থেকে সেই রাতে হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সোনালিকে। ভোরে সেখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।