‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরণ। ফাইল ছবি।
ধুমধাম করে তাঁকে দলে নিয়েছিলেন অমিত শাহ। তিরুঅনন্তপুরমের সেই সভায় ‘মেট্রো ম্যান’ ই শ্রীধরণকে তুলে ধরা হয়েছিল কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে। কিন্তু ভোটের ফল বেরোলে দেখা যায়, কেরলে একটি আসনও জিততে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। পালাক্কাডে নিজেও হেরে গিয়েছিলেন শ্রীধরণ। এ বার সক্রিয় রাজনীতিকেই বিদায় জানালেন নবতিপর।
সংবাদ মাধ্যমকে শ্রীধরণ জানিয়েছেন, ‘‘আমি আর সক্রিয় রাজনীতিতে নেই। সেই সময় পেরিয়ে গিয়েছে। রাজনীতি থেকে মন উঠে গিয়েছে, এ কথা বলব না, কিন্তু আমি আর এর মধ্যে যুক্ত থাকতে চাই না। বয়স ৯০ পেরিয়েছে, হাতে সময় খুব বেশি নেই।’’ পাশাপাশি তাঁর সংযোজন, ‘‘রাজনীতিতে না থেকেও মানুষের সেবা করা যায়। এক জন আমলা হিসেবে সেই কাজ করে এসেছি।’’
তবে ‘মেট্রো ম্যান’ নামে বিশেষ পরিচিত শ্রীধরণ স্বীকার করে নিয়েছেন, ভোটে হেরে যাওয়ার পর খানিক হলেও মন খারাপ হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘‘আজ যখন পিছন ফিরে দেখি, বুঝতে পারি এখন আর কোনও খারাপ লাগা নেই। আসলে আমি একা বিধায়ক হলেই বা কী করতে পারতাম। বদল আনার জন্য প্রয়োজন সরকার তৈরি করা। একলা বিধায়ক হয়ে কী লাভ?’’ কেরলে গত বিধানসভা ভোটে পালাক্কাডে কংগ্রেসের প্রার্থী শাফি পারাম্বিলের কাছে হেরে যান শ্রীধরণ।
কেরলে বিধানসভা ভোটের আগে শ্রীধরণকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে তুলে ধরেছিল বিজেপি। তিরুঅনন্তপুরমে জনসভা করে তাঁকে দলে যোগদান করিয়েছিলেন অমিত শাহ। কিন্তু কেরলে খাতাই খুলতে পারেনি বিজেপি। রেকর্ড গড়ে উপর্যুপরি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বাম গণতান্ত্রিক জোট।