দুই মাংসবিক্রেতাকে মারধরে অভিযুক্ত পুলিশও। ফাইল চিত্র।
গোমাংস পাচারের সন্দেহে আবারও মারধর করার অভিযোগ উঠল স্বঘোষিত ‘গোরক্ষক’দের বিরুদ্ধে। খাস রাজধানীর এই ঘটনায় গোরক্ষকদের সঙ্গে অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন ৩ পুলিশকর্মীও। কিছু দিন আগে দিল্লির আনন্দ বিহার অঞ্চলে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন শাহদারা এলাকার মাংসবিক্রেতা নবাব এবং তাঁর তুতো ভাই শোয়েব। সে সময় একটি স্কুটারে ধাক্কা মারে তাঁর গাড়িটি। তার পরই গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের মারধর করা এবং টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে ওই গোরক্ষক এবং পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, এই ঘটনায় ৩ পুলিশকর্মী-সহ মোট ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের সাসপেন্ড করেছেন কর্তৃপক্ষ।
দুই মাংসবিক্রেতার অভিযোগ, তাঁদের গাড়িটি স্কুটারে ধাক্কা মারার পরেই স্কুটারচালক তাঁদের কাছ থেকে ৪,০০০ টাকা চান। টাকার অঙ্ক নিয়ে যখন দরাদরি চলছে, সে সময় পুলিশের একটি টহলদার গাড়ি এসে পড়ে। অভিযোগ, পুলিশকর্মীরা স্কুটারচালককে ২,৫০০ টাকা দিতে বাধ্য করেন। তার পর এক নির্জন জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় দু’জনকে। মাংসবিক্রেতাদের অভিযোগ, ৩ পুলিশকর্মীর সঙ্গে তাঁদের মারধর করেছেন ৪ গোরক্ষকও। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঘটনার দিনই তাঁরা স্থানীয় থানার দ্বারস্থ হলেও অভিযোগ নথিবদ্ধ করা হয়নি। ৪ দিন পর অভিযোগ নেয় পুলিশ। তার পর অবশ্য দ্রুত তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ। ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃত ৩ পুলিশকর্মীর মধ্যে এক জন সহকারী সাব-ইনস্পেক্টর।
দুই মাংসবিক্রেতার অভিযোগ, স্কুটারচালক চলে যেতেই ১৫ হাজার টাকা দাবি করে পুলিশ। টাকা না দিলে গাড়িতে গোমাংস পাচারের অভিযোগে ‘ফাঁসিয়ে দেওয়া’, এমনকি মেরে ফেলার হুঁশিয়ারি দেয় তারা। তার পরই নির্জন স্থানে গিয়ে ৭ জন বেধড়ক মারধর করে দু’জনকে। এমনকি দু’জনের মুখে প্রস্রাব করে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। গুরুতর আহত হওয়া আক্রান্তদের স্থানীয় জিটিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।