বদ্রীনাথে যাওয়ার ‘গেটওয়ে’ বলা হয় জোশীমঠকে। ছবি: পিটিআই।
জোশীমঠে বিপর্যয়ের মাঝে বদ্রীনাথ যাত্রা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বদ্রীনাথে যাওয়ার ‘গেটওয়ে’ বলা হয় জোশীমঠকে। গাড়োয়াল হিমালয়ের উপর এই শহর দিয়েই বদ্রীনাথের পথ। কিন্তু সম্প্রতি জোশীমঠে বিপর্যয় ঘনিয়েছে। ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে গোটা শহর। এই পরিস্থিতিতে বদ্রীনাথ যাওয়ার বিকল্প কোনও রাস্তার বন্দোবস্ত করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনায় প্রশাসন।
জোশীমঠ থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে হেলাং বাইপাস প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। সেই রাস্তা জোশীমঠের বিকল্প হতে পারত। কিন্তু রাস্তা তৈরির কাজ এখনও শেষ হয়নি। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছিল। জানুয়ারিতে জোশীমঠের বাড়ি এবং রাস্তাঘাটে ফাটল দেখা দিলে তড়িঘড়ি কাজ বন্ধ করে দিতে হয়।
হেলাং বাইপাস প্রকল্পের কাজ শেষ হতে আড়াই বছর সময় লাগার কথা। চলতি বছরের বদ্রীনাথ যাত্রায় বাকি আর মাস চারেক। ফলে এই সময়ের মধ্যে বদ্রীনাথ যাত্রার বিকল্প রাস্তা তৈরি হবে না বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন (বিআরও)-র তরফে উত্তরাখণ্ড সরকারকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
উত্তরাখণ্ড রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব রঞ্জিতকুমার সিনহা বলেন, ‘‘বদ্রীনাথ যাত্রা যাতে সম্পূর্ণ নিরাপদ হয়, পুণ্যার্থীরা যাতে কোনও রকম সমস্যার সম্মুখীন না হন, তা আমরা নিশ্চিত করব। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হবে। মঙ্গলবারই আমরা বিআরও-র সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনার জন্য বৈঠকে বসব।’’
বদ্রীনাথ যাত্রা শুরু হওয়ার আগে বিকল্প রাস্তার বন্দোবস্ত করা যায় কি না, সে বিষয়েও আলোচনা করবে প্রশাসন।
জানুয়ারি মাসের শুরু থেকেই জোশীমঠে বিপর্যয় ঘনিয়েছে। একের পর এক বাড়িতে ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তাতেও চওড়া হয়েছে ফাটল। কোনও কোনও বাড়ি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে। বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে বসে যাচ্ছে জোশীমঠ শহর। সেখানকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৮৬৩টি বাড়িতে ফাটল দেখা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে জোশীমঠের উপর দিয়ে বদ্রীনাথ যাত্রায় পা বাড়াতে ভয় পাচ্ছেন পুণ্যার্থীদের অনেকেই।