সদ্যই বাংলা সফর সেরে ফিরে গিয়েছেন জেপি নড্ডা। গত ৭ জুন রাতে কলকাতায় এসে ফিরেছেন ৯ জুন। তার পরে এক সপ্তাহের মধ্যেই দিল্লিতে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বৃহস্পতিবার দিল্লির বাসভবনে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও রাজ্যের পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য, সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে দীর্ঘ সময় নড্ডা কথা বলেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলায় সফরে এসে রাজ্যের সাংগঠনিক কাঠামো বদল থেকে বুথ স্তরে সংগঠন মজবুত করার নানা পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন নড্ডা। সামনেই দলের ‘বুথ সশক্তিকরণ’ কর্মসূচি রয়েছে। সেই সব নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব কতটা প্রস্তুতি নিতে পেরেছে তা নিয়েই বৃহস্পতিবারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বিভিন্ন কর্মসূচির পাশাপাশি রাজ্যে লাগাতার আন্দোলনে থাকারও পরামর্শ সুকান্তদের দিয়েছিলেন নড্ডা। বিজেপি সূত্রে খবর, কলকাতায় থাকার সময়েই খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য নেতৃত্বের পরিকল্পনা জানাতে বলেছিলেন নড্ডা। সেই মতোই সুকান্তদের এই দিল্লি সফর। সঙ্গে নরেন্দ্র মোদী সরকারের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজ্যে যে কর্মসূচি পালিত হয়েছে তার রিপোর্টও নড্ডাকে দিয়েছেন সুকান্ত।
কিছু দিন আগেই সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথাবার্তা নিয়ে বিজেপির মধ্যে নানা ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। নড্ডা রাজ্যে আসার আগে আগেই দিলীপের মুখবন্ধ করতে চিঠি দেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। নড্ডা অবশ্য তা নিয়ে দিলীপের সঙ্গে এখনও পর্যন্ত কথা বলেননি। তবে দিলীপ অনেকটাই চুপ। চিঠি পাওয়ার পরে ‘দলবিরোধী’ হতে পারে এমন কোনও মন্তব্য করেননি। গেরুয়া শিবিরের কেউ কেউ মনে করছেন, বৃহস্পতিবারের বৈঠকে সেই বিষয়েও কথা হয়ে থাকতে পারে। তবে সুকান্ত মজুমদারের দাবি, এটা একেবারেই সাধারণ সাংগঠনিক বৈঠক। তিনি বলেন, ‘‘দলের নিয়ম মেনেই আমাদের নিয়মিত সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে কথা বলে নিতে হয়। সংগঠন চালাতে প্রয়োজন হয় এমন কিছু খুঁটিনাটি বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। নড্ডাজির পরামর্শ নিয়েছি।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।